নোয়াখালীর হাতিয়ার আসন্ন দুটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই সদস্য প্রার্থীর দুজন প্রস্তাবক ও একজন সমর্থককে তুলে নেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন হয়েছে।
এ ছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা ও হুমকি প্রদান এবং জোর করে মানুষের স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ঘটনার পেছনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর নির্দেশ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে বৃহস্পতিবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, উপজেলার ১ নম্বর হরণী ও ২ নম্বর চানন্দী ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রার্থীরা সন্ত্রাসীদের কারণে মনোনয়ন সংগ্রহ করতে পারেননি।
বিজ্ঞাপন
এরপর সন্ত্রাসীরা প্রার্থী, প্রস্তাবক ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি হামলা ও হুমকি প্রদান এবং জোর করে স্বাক্ষর নেয়। হরণী ইউনিয়নের দুই সদস্য প্রার্থীর দুজন প্রস্তাবক ও একজন সমর্থককে তুলে নিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, নির্বাচনী প্রচারণার ব্যাপারে কমিশনের সিদ্ধান্ত না থাকলেও মোহাম্মদ আলীর প্রার্থীরা সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা করে যাচ্ছেন।
তবে বিপক্ষের প্রার্থী ও সমর্থকদের হুমকি দেওয়ায় তাঁরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না।
এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট দাবি করে হাতিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘যারা এসব অভিযোগ করছে, তারা কখনো এলাকায় আসে না। জেলা শহরে বসে বসে আমার ও আমার নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ’
নোয়াখালী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগকারীদের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। ’