জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন পর যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়েও গ্যাস সংকটে উৎপাদনে যেতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) এমনটাই জানিয়েছেন।
সরজমিনে জানা যায়, যমুনা সার কারখানার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ৭০০ টন।
বিজ্ঞাপন
যমুনা সার কারখানা সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৭ মার্চ যমুনা সার কারখানার শর্ট শাটডাউন শুরু হয়। শর্ট শাটডাউন শেষে গত ২ মে উৎপাদনে ফেরে যমুনা। উৎপাদন শুরুর পাঁচ দিন পর ফের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। অ্যামোনিয়া প্লান্টের ২ নম্বর বিএফডাব্লিউ প্রি-হিটারের এসি-ই-০৫এ/বি-এর ক্যাপ ফ্লাঞ্জের ওয়েল্ডিং ফেল করে। এতে ব্যাপক হারে গ্যাস নির্গত হতে থাকে। এ কারণে কারখানার নিরাপত্তার কথা ভেবে পুরো অ্যামোনিয়া প্লান্ট বন্ধ করে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
পরে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষে মেরামতকাজ শুরু হয়। গত ১১ মে মেরামতকাজ শেষ হয়। পরদিন ১২ মে ওই লিকেজ টেস্ট করা হয়। সব কিছু ঠিকঠাক। এখন উৎপাদনে যাওয়ার পালা। এর মধ্যেই গ্যাস সংকটে পড়ে যমুনা। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যেতে বেশ কয়েকটি ধাপে নির্ধারিত চাপে ও পরিমাণে গ্যাসের প্রয়োজন হয়।
এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আব্দুল হালিম বলেন, ‘কারখানাটি সুষ্ঠু ও নিরাপদে চালু রাখতে হলে চাহিদামাফিক চাপে ও পরিমাণে স্থিতিশীলভাবে সার্বক্ষণিক গ্যাস সরবরাহ প্রয়োজন। উৎপাদন প্রক্রিয়ার অন্যান্য ধাপ সম্পন্ন করতে হলে ২৫ কেজি চাপে দৈনিক ৪৫.০ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ প্রয়োজন। ’
কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শহিদুল্লাহ খান বলেন, ‘যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে তোলা হয়েছে। গ্যাস সংকট আছে। শুক্রবার রাত থেকে কিছুটা গ্যাসের চাপ বেড়েছে। সেটা দিয়ে সার উৎপাদনের চেষ্টা করা হচ্ছে। যেটুকু আছে সেটা কতক্ষণ থাকবে আমরা বলতে পারছি না। ’ তবে গ্যাসের চাপ বৃদ্ধি রাখার দাবি কর্তৃপক্ষের।