ময়মনসিংহ নগরের ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি। তার পরও বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্ব মানার ব্যাপারেও উদাসীন তারা। সর্দি-কাশি নিয়েই যাচ্ছে হাট-বাজারে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ। সরকারি দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছে এক হাজার ৬৬৪ জন করোনা রোগী।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান শেরপুর সদরের মরিয়ম আক্তার (২০)। তা ছাড়া করোনা উপসর্গে মারা গেছেন আরো তিনজন। তাঁরা হলেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বাদল সরকার (৬৫), গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মনোয়ারা (৯০) এবং কিশোরগঞ্জ সদরের তানিয়া (২১)। তাঁরা করোনা উপসর্গ ছাড়াও অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন।
আরিফুল হাসান নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘চারদিকে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত লোকজন। তাই ঘর থেকে বের হতেই ভয় লাগে। হাঁচি-কাশি দেওয়ার বিষয়ে শিষ্টাচারও মানছে না কেউ। অনেকে প্রকাশ্যে ফেলছে থুথু। ’ হাসনা বেগম নামের এক গৃহিণী বলেন, ‘তাঁদের বাসার সবারই সর্দি-কাশি ছিল। তবে চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে গেছে। ’
জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। কোনো অসুস্থতা বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ’