সপ্তম ধাপে ৭ ফেব্রুয়ারি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোট। এতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ১৭, বিদ্রোহী ৭, বিএনপি ২, জাপা ৫ ও জামায়াতের ১৩ নেতা প্রার্থী হয়েছেন। একসময়ের দুর্গ হিসেবে পরিচিত এই এলাকায় ১২টিতে কোনো প্রার্থী দিতে পারেনি জাপা।
১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মিঠাপুকুর দেশের বৃহত্তম উপজেলা।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাপার যে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁরা হলেন, পায়রাবন্দে রেজাউল ইসলাম রেজা, দুর্গাপুরে সারোয়ার মিয়া, কাফ্রিখালে হাফিজুর রহমান চৌধুরী, বালার হাটে বজলার চৌধুরী ও মির্জাপুরে গোলাম আজম মিলন।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ নির্বাচিত হন। এরশাদের ছেড়ে দেওয়া উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির মিজানুর রহমান চৌধুরী নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এইচ এম এরশাদ আবারও নির্বাচিত হলে, উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে জাতীয় পার্টি থেকে শাহ সোলায়মান ফকির নির্বাচিত হন। এর পর থেকে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে রংপুর-৫ সংসদীয় আসনটি।
কেন জাপা প্রার্থী দিতে পারেনি? এই প্রশ্নের উত্তরে রংপুর জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘স্থানীয় নেতাদের অনাগ্রহ ও নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূল না থাকায় আমরা সব ইউনিয়নে প্রার্থী দিতে পারিনি। তবে যে যাই বলুক, জাপার দুর্গ রংপুর। ’
আওয়ামী লীগে নতুন মুখ
আওয়ামী লীগ ১৭ ইউনিয়নে তাদের প্রার্থী দিয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন নতুন মুখ। পুরনোদের মধ্যে মনোনয়ন পেয়েছেন রানীপুকুরে চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, ময়েনপুরে চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক এবং দুর্গাপুরে চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান তালুকদার। রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দীন বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। ’