কিশোরগঞ্জের নিকলী সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এক সেবাগ্রহীতাকে সেবাদানের বদলে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। হুমায়ুন কবীর চৌধুরী (৫৭) নামের ওই সেবাগ্রহীতার বিরুদ্ধে নিকলী থানায় মামলাও করেছেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী মজিবুর রহমান। এতে হুমায়ুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নিকলী উপজেলা পরিষদের সীমানাপ্রাচীর ভাঙা এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনার পর হুমায়ুন চৌধুরীকে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হুমায়ুন চৌধুরীর বাড়ি নিকলী সদরের পূর্বগ্রামে। গতকাল শনিবার তিনি মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তহশিলদার মজিবুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে অফিসে ডেকে নেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি ওই অফিসে যান। একটি জায়গার জমাখারিজের বিষয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি মোবাইল ফোনে দুজনের কথোপকথন রেকর্ড করছিলেন। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তহশিলদার অফিসের কর্মচারীদের ডেকে দরজা আটকে দেন। এর পরই তহশিলদারসহ কয়েকজন স্টাফ মিলে তাঁকে কিল-ঘুষি মারেন। এমনকি চেয়ার তুলে মাথায় আঘাত করেন।
নিকলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রীতিলতা বর্মণ মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কবে উপজেলা পরিষদের দেয়াল ভাঙা হয়েছে, তা জানেন না বলে মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, তিনি ঘটনার খবর পাওয়ার পর অফিসে গিয়ে হুমায়ুন চৌধুরীর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাননি। তবে সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।