কুমিল্লা নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত উজিরদিঘির পারে বসানো সেচযন্ত্র। ছবি : কালের কণ্ঠ
প্রাচীনকাল থেকেই কুমিল্লা সমৃদ্ধ ছিল ব্যাংক ও ট্যাংকের (পুকুর বা দিঘি) শহর হিসেবে। কিন্তু গত দেড় দশকে কুমিল্লা নগরীতে ব্যাপক হারে ব্যাংকের সংখ্যা বাড়লেও সমানতালে কমেছে পুকুর ও জলাশয়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে অন্তত ৩০০ বছরের পুরনো ‘উজিরদিঘি’। দিঘিটির অবস্থান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের বাংলো ও সার্কিট হাউস লাগোয়া।
বিজ্ঞাপন
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১০ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের জলাধার বা পুকুর ভরাট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং ভরাটকারীর বিরুদ্ধে আইনের ৭ ধারায় প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ও জীববৈচিত্র্য নষ্ট করে পরিবেশগত ক্ষতি ও বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রয়েছে। তবে এসব আইনের কোনো তোয়াক্কাই করছে না ভরাটকারীরা।
কুমিল্লা নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত উজিরদিঘিটি ভরাটের জন্য দুটি মেশিন বসিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পানি কমানো হয়েছে। গত শনিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এবং কুমিল্লা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেখানে গিয়ে পানি সেচ বন্ধ করেন। নগরীর ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামের পূর্ব দিকের অদূরে অবস্থিত উজিরদিঘির পশ্চিম পারে পুলিশ সুপারের বাংলো, উত্তর পারে কুমিল্লা সার্কিট হাউস, পূর্ব ও দক্ষিণ পারে জনবসতি। আর দক্ষিণ পারের সড়ক দিয়ে কুমিল্লার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রশাসন বন্ধ করলেও পানি সেচের পাম্পগুলো এখনো সেখানেই রয়েছে। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন ৪৫ বছর বয়সী আবদুল মতিন। মতিন বলেন, ‘নগরীর মোগলটুলী এলাকার বাসিন্দা এ কে এম মহসিন স্যার এই দিঘিটি প্রায় তিন বছর আগে কিনেছেন। ’ এ কে এম মহসিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপপরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, ‘ভরাটের চেষ্টা করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’