<p>যশোরের মণিরামপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (১০ টাকার চাল) নতুন কার্ড তৈরির নামে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে। উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নের ডিলার সবুজ বিশ্বাস নতুন কার্ড তৈরি করতে ৫১২ জন উপকারভোগীর কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিয়েছেন। সবুজ বিশ্বাস হরিদাসকাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদ্য পরাজিত চেয়ারম্যান বিপদ ভঞ্জন পাড়ের অনুসারী। চেয়ারম্যানের অনুসারী হওয়ায় কার্ড হারানোর ভয়ে উপকারভোগীরা এ অর্থ দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও উপজেলা খাদ্য অফিস বিনা মূল্যে নতুন এসব কার্ড বিতরণ করার কথা। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) কয়েকজন উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।</p> <p>হরিদাসকাটি ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রণব বিশ্বাস গত শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুকে এ অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি দাবি করেন, ডিলার সবুজ গেল অক্টোবর মাসে হরিদাসকাটি ইউনিয়নের ৫, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৫১২ জন ভাতাভোগীর কাছ থেকে ২০০ টাকা করে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাই ডিলারের বিচার দাবি করেছেন তিনি।</p> <p>এদিকে নতুন কার্ড বিতরণে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ডিলার সবুজ। তবে তিনি বলেন, ‘২০০ টাকা নয়, অফিস খরচ হিসেবে ৫০ টাকা করে নিয়েছি।’</p> <p>মণিরামপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, ‘খাদ্যবান্ধবের নতুন কার্ডের জন্য চাহিদাপত্র দিয়ে বরাদ্দ আনতে হয়। আমরা এখনো বরাদ্দ পাইনি। একটা কার্ড করাতে ৮-১০ টাকা খরচ হয়। অফিসেও লোকবল কম।’ তিনি বলেন, ‘আমার অফিস ৫০ টাকা করে নেওয়ার কথা না। আমি ডিলারদের ফোন করে টাকা নিতে নিষেধ করেছি। ডিলার সবুজের কার্ডপ্রতি ২০০ টাকা নেওয়ার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’</p>