‘আমরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কৃষকের ফসলের পরিচর্যাসহ কাটা-মাড়াইয়ের কাজ করি। দারিদ্র্য আর ভাগ্য আমাদের এই পেশায় নিয়ে এসেছে। রোজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রম দিয়ে আবার রাতে রান্নাবাড়া করে খেয়ে ঘুমাই। আমাদের কথা কেউ বলে না। সবাই ছোট করে দেখে। সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা আমাদের ভাগ্যে মেলে না।’ গতকাল আক্ষেপ করে এই কথাগুলো বলেন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের খোঁচাবাড়ী গ্রামের কৃষি শ্রমিক মিনিবালা। শুধু খোঁচাবাড়ীতেই নয়, জেলার অন্য গ্রামেও মিনিবালার মতো কৃষি শ্রমিকদের দেখা মিলবে। তাঁরা এখন আর সমাজের বোঝা নন, সফল শ্রমজীবী মানুষ।
আরেক কৃষি শ্রমিক গীতা রানী বলেন, ‘অভাবী সংসার, তাই এই কষ্টসাধ্য পেশা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছি। যত দিন মাঠে ফসল থাকে আমাদের কাজ তত দিন থাকে। ধানের চারা রোপণ, নিড়ানি দেওয়া ও কাটা-মাড়াই, বাদাম, আলু, পাট, গম, ভুট্টাসহ সব ধরনের কৃষিকাজ করে থাকি। স্বামীর পাশাপাশি আমরা এই কাজ করে সংসারটা সুন্দরভাবে পরিচালনা করছি। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছি। এনজিও থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করছি। কষ্ট হলেও পরিবারের জন্য কিছু করতে পারছি, এটাই আনন্দের।’ অন্যদিকে প্রমিলা রানী বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করছি। শুরুতে মানুষজন নানা কথা বলত, কিন্তু এখন আর কিছু বলে না।’
মন্তব্য