বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় সন্তান লাভের আশায় কথিত কবিরাজ জান্নাতুন ও সেকেন্দার দম্পতির প্রতারণার শিকার হয়েছেন অর্ধশত নিঃসন্তান গৃহবধূ। এ ঘটনায় প্রতারক কবিরাজ দম্পতির শাস্তি চেয়ে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আইমাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী মৌসুমীসহ ভুক্তভোগী সাত গৃহবধূ দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের খবর পাওয়ার পর সপরিবারে গা ঢাকা দিয়েছে কথিত কবিরাজ দম্পতি।
ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের বড়নিলাহালী গ্রামের জান্নাতুন বেগম (৭০) ও তাঁর স্বামী সেকেন্দার আলী চৌধুরী (৭৫) নিঃসন্তান গৃহবধূদের চিকিৎসা দিতেন। গর্ভে সন্তান লাভের চিকিৎসার ফি বাবদ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নিতেন তাঁরা। লোকমুখে তাঁদের চিকিৎসার কথা শুনে সম্প্র্রতি তাঁরাও কবিরাজ দম্পতির শরণাপন্ন হন। এরপর তাঁদের পাউডার জাতীয় ওষুধ খেতে দেওয়া হয়। এর ৩০-৫০ দিনের মধ্যে গর্ভবতী নারীর মতো তাঁদের পেট ফুলে যায়। ফের কবিরাজ দম্পতির কাছে গেলে তাঁদের প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে গর্ভবতী হওয়ার প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও গর্ভপাত না হওয়ায় প্রতিবেদনটি নিয়ে গাইনি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন তাঁরা। কিন্তু গাইনি বিশেষজ্ঞ তাঁদের পরীক্ষা শেষে জানান, তাঁদের পেটে বাচ্চা নেই।
মন্তব্য