কর্ণফুলী নদীর ওপারে কর্মস্থল। সেখানে যাওয়ার জন্য প্রতিদিনের মতো গতকাল মঙ্গলবারও এপার থেকে নৌকায় উঠেছিলেন সৈকত বড়ুয়া (২৮)। হঠাৎ মাঝনদীতে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় অন্য যাত্রীরা বেঁচে গেলেও মৃত্যু হয় সৈকতের। সকাল পৌনে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম নগরে কর্ণফুলীর ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সৈকত কর্ণফুলী উপজেলার দক্ষিণ শাহ মিরপুর এলাকার প্রশান্ত বড়ুয়ার ছেলে। তবে তিনি কোন প্রতিষ্ঠানে, কী পদে কাজ করতেন, তা জানাতে চায়নি তাঁর পরিবার। সৈকতের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ বিষয়ে সৈকতের মামাতো ভাই পলাশ বড়ুয়া ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, দুর্ঘটনার সময় নৌকাটিতে ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী ছিল। এ সময় বেশির ভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও সৈকতসহ দুজন নিখোঁজ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল তাঁদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক সৈকতকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের লিডার শাফাতে হোসেন জানান, ৯৯৯-এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ডুবুরিদল পাঠান।
মন্তব্য