শীতজনিত রোগে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্তবিভাগে রোগীদের ভিড়। ছবি : কালের কণ্ঠ
নড়াইলে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. আকরাম হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর স্বামী মাহফুজ নুর রিপন গত সোমবার সদর নালিশি আদালতে এ মামলা করেন। মামলার পর বিচারক সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা তদন্ত করে সিভিল সার্জনকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ইমন সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিক মো. সরোয়ার হোসেন ও তাঁর স্ত্রী শিল্পী বেগম। প্রসঙ্গত, গত বছর বিনা ছুটিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে ডা. আকরাম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ইমন সার্জিক্যাল ক্লিনিকে অপারেশনের (সিজার) মাধ্যমে ছেলেসন্তানের জন্ম দেন পৌর এলাকার ভওয়াখালীর ঝুমা বেগম। সেখানে তাঁর অপারেশন করেন সদর হাসপাতালের ডা. আকরাম হোসেন, কিন্তু নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ঝুমার জরায়ু আর প্রস্রাবের নালিতে পচন ধরে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনায় নেওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় দফা অপারেশনের মাধ্যমে তাঁর জরায়ু কেটে ফেলা হয়।
আসামি সরোয়ার ও তাঁর স্ত্রী শিল্পী বলেন, ‘ক্লিনিক থেকে চলে গিয়ে রোগীরা অসচেতনভাবে অনেক কাজ করে যাতে তাদের অন্য কোনো সমস্যা তৈরি হতে পারে। এতে আমাদের কোনো দায় নেই।’
আরেক আসামি সদর হাসপাতালের ডা. আকরাম হোসেন দাবি করেন, ‘আমি তো অপারেশন ভালোভাবেই করলাম। ঘটনা অনেক দিন আগের। পরে তাঁরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, খুলনায় চিকিৎসা নিয়েছেন। কোথা থেকে কী হয়েছে, বুঝতে পারলাম না।’
অন্যদিকে সদ্য যোগদানকারী সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আকতার বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি তেমন কিছুই জানি না।’
মন্তব্য