<p>আগামী ৩০ জানুয়ারি কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচন। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন প্রার্থী। আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা) প্রার্থী মনিরুজ্জামান বুলবুল ও বিএনপি মনোনীত (ধানের শীষ) প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিনের মধ্যে হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা।</p> <p>উপজেলা নির্বাচন দপ্তরে জমা দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুজ্জামান বুলবুল উপজেলার কয়লা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তিনি বিএ বিএড পাস। তাঁর বছরে আয় চার লাখ ছয় হাজার ১৪৬ টাকা। আয়ের উৎস চাকরিসহ ব্যবসা। এ ছাড়া তাঁর নামে ২০ লাখ টাকা ব্যাংকে আছে। আর দুই লাখ টাকার আছে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল ইত্যাদি। এ ছাড়া তাঁর একটি মোটরসাইকেল ৮০ সিসি, যার দাম ৭০ হাজার টাকা। ফ্রিজ একটি, ফ্যান তিনটি ৪৫ হাজার টাকা, কাঠের খাট দুটি ৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া তাঁর বার্ষিক সাংসারিক ব্যয় দুই লাখ সাত হাজার ১৪৬ টাকা। স্ত্রীর আছে একটি সোনার চেইন, যার দাম ৩০ হাজার টাকা, ব্যবসাবহির্ভূত অর্থ-সম্পদ ১৯ লাখ টাকা। কৃষিজমি ৬৬ শতাংশ (ওয়ারিশ সূত্রে), যার দাম ৫০ লাখ টাকা, বসতবাড়ি ০.৫ শতাংশ, দাম পাঁচ লাখ টাকা।</p> <p>অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন দশম শ্রেণি পাস। তিনি ইটভাটা ও টাইলসের ব্যবসা করেন। নাশকতাসহ তাঁর নামে ছয়টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় সাত লাখ ৮২ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি নগদ এক কোটি ৩০ লাখ টাকার। এ ছাড়া তাঁর ১২০ সিসি মোটরসাইকেল, স্বর্ণালংকার ২০ ভরি, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী এক লাখ টাকার, আসবাবপত্র এক লাখ ২০ হাজার টাকার। কৃষিজমি চার বিঘা এবং অকৃষি জমি ৬ শতাংশ (দালান আবাসিক/বাণিজ্যিক)।</p> <p>তিনি এসআইবিএল সাতক্ষীরা শাখায় তিন কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৯২৮ টাকা দেনা আছেন। ব্যবসায় পুঁজি চার কোটি ৪৫ লাখ ৫২ হাজার ৯২৮ টাকা। অকৃষি সম্পত্তি ১০ লাখ ৪২ হাজার টাকার, বিনিয়োগ ১০ লাখ টাকার, অলংকার ৬০ হাজার টাকার, আসবাবপত্র এক লাখ ২০ হাজার টাকার, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী এক লাখ টাকার, ব্যবসাবহির্ভূত অর্থ-সম্পদ আট লাখ টাকা, মোট আয় তিন কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৯২৮ টাকা। করযোগ্য আয় সাত কোটি ৮২ হাজার টাকায় প্রদত্ত আয়কর ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা।</p> <p>স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে মোবাইল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী মজনু। তিনি এইচএসসি পাস। আয়ের উৎস ব্যবসা। তাঁর নামে এক জায়গায় দুই লাখ টাকা, অন্য জায়গায় ৮৫ হাজার টাকা রয়েছে। তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ নগদ আট লাখ ৮০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ১০ ভরি, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ৫০ হাজার টাকার, আসবাবপত্র ৮০ হাজার টাকার। তাঁর সম্পদ ব্যবসার পুঁজি (মূলধনের জের) আট লাখ ৮০ হাজার টাকা। বার্ষিক করযোগ্য আয় দুই লাখ ৮৫ হাজার টাকা।</p> <p>এদিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে গত দুইবারের নির্বাচিত মেয়র গাজী মো. আক্তারুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস সুলতানা জগ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি এবার নতুন প্রার্থী এবং এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তাঁর অস্থাবর সম্পত্তি নগদ ৩০ হাজার টাকা, ব্যাংকে পাঁচ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার, ইলেকট্রনিসক সামগ্রী—টিভি একটি, ফ্রিজ একটি, ফ্যান দুটি, আসবাবপত্র—আলমারি একটি, সোফা ও ওয়ার্ডরোব, মোবাইল ফোন দুটি, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার বিয়ের উপহার, কৃষিজমি .০১৭ একর, সম্পদ ব্যবসার পুঁজি (মূলধনের জের) ১৩ লাখ টাকা, আসবাবপত্র ক্রয়মূল্য ৫০ হাজার টাকা, মোট আয় তিন লাখ ৫৫ হাজার প্রদত্ত আয়কর তিন হাজার টাকা। ব্যক্তিগত ও ভরণ-পোষণ খরচ এক লাখ ৫৫ হাজার টাকা।</p>