তৃতীয় ধাপে বগুড়ার ধুনট পৌরসভা নির্বাচন আগামী ৩০ জানুয়ারি। এই নির্বাচনে চার প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত অধ্যাপক টি আই এম নুরুন্নবী তারিক, বিএনপি মনোনীত আলিমুদ্দিন হারুন মণ্ডল, কমিউনিস্ট পার্টির সাহা সন্তোষ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এ জি এম বাদশাহ।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক টি আই এম নুরুন্নবী তারিক স্নাতকোত্তর পাস। পেশা শিক্ষকতা। বার্ষিক আয় পাঁচ লাখ ৪২ হাজার ৯৭৫ টাকা। এর মধ্যে পেশা থেকে চার লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৫ টাকা, কৃষি খাত থেকে ২০ হাজার টাকা এবং ভাড়া থেকে ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা পান। দুটি মামলা থেকে প্রত্যাহার সূত্রে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। কৃষিজমি আছে .৪০ একর। নগদ আছে ৩২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৭০ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ১২ লাখ ৩০ হাজার ২৫৬ টাকা। স্বর্ণ আছে নিজের নামে ২০ ভরি ও স্ত্রীর নামে ২০ ভরি। নিজের নামে একটি পাকা বাড়ি ও স্ত্রীর নামে একটি প্রাইভেট কার আছে।
বিএনপি প্রার্থী
বিএনপির মেয়র প্রার্থী আলিমুদ্দিন হারুন মণ্ডল হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে এসএসসি পাস উল্লেখ করেছেন। পেশা ব্যবসা। তাঁর বার্ষিক আয় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। নগদ টাকা আছে এক লাখ ৬২ হাজার। কৃষিজমি ০.৭৬ একর ও অকৃষি জমি ০.২১৯৪ একর। ব্যাংকে জমা আছে এক হাজার ১০০ টাকা। স্বর্ণ আছে সাড়ে তিন ভরি। আধাপাকা একটি বাড়ি ও কৃষিজমি ০.৪১ একর। ব্যাংকে ঋণ আছে ছয় লাখ ১২ হাজার ৩৫৮ টাকা। তাঁর নামে মামলা ১৯টি। এর মধ্যে ১৬টি মামলায় খালাস, একটি মামলা বিচারাধীন ও দুটি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এ জি এম বাদশাহ হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে এইচএসসি পাস এবং পেশার ঘরে ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। তাঁর বার্ষিক আয় চার লাখ পাঁচ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভাড়া থেকে পান ৪৫ হাজার, মেয়র পদে সম্মানী পান তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা। কৃষিজমি ০.১০৫০ একর ও অকৃষি জমি ০.২৩৫০ একর। নগদ টাকা আছে ৯ লাখ ৫৮ হাজার। ব্যাংকে জমা আছে ১০ হাজার টাকা। স্বর্ণ আছে ২০ ভরি। ব্যাংকঋণ ছয় লাখ টাকা। প্রত্যাহার সূত্রে তিনটি মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন।
কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহা সন্তোষ হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে স্বশিক্ষিত এবং পেশার ঘরে প্রযোজ্য নয় উল্লেখ করেছেন। তাঁর বার্ষিক আয় বলতে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা থেকে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা। নগদ টাকা পাঁচ হাজার ও ব্যাংকে জমা আছে এক হাজার টাকা। সঞ্চয়পত্র আছে দুই লাখ টাকার, স্বর্ণ ২০ ভরি। তাঁর নামে মামলা, কৃষিজমি ও কোনো ধরনের ঋণ নেই।
মন্তব্য