পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভা নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে দোকানি জহুরুল ইসলামের কাছে হেরে গেছেন ক্ষমতাসীন দলের দুই শীর্ষ নেতা। আর এ ফলাফল দলটির অন্য নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত শনিবার এ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে পরাজিত দুই প্রার্থী হলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম এবং জেলা যুবলীগের সদস্য ও ভাঙ্গুড়া উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটা, সরদারপাড়া ও হাসপাতালপাড়া মহল্লা নিয়ে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত। ওয়ার্ডটির মোট ভোটার সংখ্যা এক হাজার ৬০০ জন। শনিবার অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে পাথরঘাটা পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা জহুরুল, হাসপাতালপাড়ার বাসিন্দা রেজাউল ও সরদারপাড়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভাঙ্গুড়া বাজারে কাচ ও থাই অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রীর দোকান আছে জহুরুলের। ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফলে জানা যায়, ৫৪১ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন জহুরুল।
ভোটারদের মতে, রেজাউল আওয়ামী লীগ নেতা হলেও এলাকাবাসীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে পারেননি। তাই তাঁর পরাজয় ঘটেছে। আর জাহাঙ্গীর অন্য এলাকা থেকে দেড় যুগ আগে এখানে এসে বসবাস শুরু করেন। ফলে তিনি জনসমর্থন ধরে রাখতে পারেননি। তাই সাধারণ দোকানদারের কাছে দুজনেরই পরাজয় হয়েছে।
ছাত্রলীগকর্মীর কাছে ধরাশায়ী ধনাঢ্য দুই ব্যবসায়ী
একই নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ছাত্রলীগকর্মী ইব্রাহিম হোসেন ইমরানের কাছে ভাঙ্গুড়া বাজারের সবচেয়ে ধনাঢ্য দুজন ব্যবসায়ী পরাজিত হয়েছেন। পরাজিতরা হলেন জহুরুল ইসলাম ও তোফাজ্জল হোসেন। দুজনই আগে কাউন্সিলর ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কলেজপাড়া, মেন্দা ও সওদাগরপাড়া মিলে ১ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত। এ ওয়ার্ডে ভোটার আছেন দুই হাজার ৩৪৬ জন। শনিবার চার কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর মধ্যে ৭৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন ইব্রাহিম।
মন্তব্য