অপহৃত হওয়ার এক বছর পর গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে হেলাল উদ্দিন (৪৩) নামের এক এনজিও কর্মকর্তার গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
জানা যায়, গত বছরের ২২ নভেম্বর কম দামে তক্ষক বিক্রির লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকার বাগানবাজার থেকে অপহরণ করা হয় হেলাল উদ্দিন ও ঠিকাদার বাবুল সিকদারকে (৪২)। হেলাল উদ্দিন ঢাকার মুগদাপাড়ার সেতুবন্ধন নামে একটি এনজিওর ম্যানেজার। অপহরণকারীরা তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ দেওয়া হলে বাবুল সিকদারকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা, কিন্তু হেলাল উদ্দিনকে হত্যা করে লাশ গুম করে।
অপহৃত হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা পিংকি গত বছর ৬ ডিসেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ফটিকছড়ির ভুজপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলার তদন্তের অগ্রগতি না হওয়ায় পিআইবিতে স্থানান্তর করা হয় মামলাটি। গত বুধবার রামগড়ের লালমাই থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অপহরণকারীচক্রের সদস্য বিল্লালকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল স্বীকার করেন, জঙ্গলে হেলালকে হত্যা করে লাশ পুঁতে রাখা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাগানবাজারের নূরপুরের জঙ্গল থেকে ৫০ ফুট গভীর মাটির গর্ত থেকে লাশ উদ্ধার করে পিবিআই। নিহত হেলাল উদ্দিন চাঁদপুরের মতলব থানার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের নাগদা গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, ‘গ্রেপ্তার করা আসামি আমাদের কাছে স্বীকার করেছে, তারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। বিল্লালের স্বীকারোক্তির সূত্র ধরেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’
মন্তব্য