<p>রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) তখনকার মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ছিলেন কারাগারে। ভেঙে পড়েছিল সিটি করপোরেশনের চেইন অব কমান্ড। আর এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে গোপনে বিধিবহির্ভূতভাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) গোলাম মুর্শেদ। প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন ২০১৭ সালের ২ মার্চ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এক মাস ২২ দিনের এ সময়কালে তিনি উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনেও।</p> <p>নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি খুলনায় যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে কোনো বেতন-ভাতা নিইনি। সিটি করপোরেশন ছাড়পত্র না দেওয়ায় আমি সেখান থেকে চলে এসেছি।’</p> <p>রাজশাহী সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল মেয়র থাকাকালীন গোলাম মুর্শেদ ছিলেন অঘোষিত প্রধান প্রকৌশলী। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে। এ জন্য রাজশাহী সিটি করপোরেশন থেকে তিনি কোনো ছাড়পত্র নেননি।</p> <p>অনুসন্ধানে জানা যায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীদের কার্যকালের তালিকায় গোলাম মুর্শেদের নাম আছে ১৩ নম্বরে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফায়েক উজ্জামান জানান, গোলাম মুর্শেদ এক মাসের বেশি সময় সেখানে প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে তিনি বেতন-ভাতা নিয়েছেন কি না, সেটি তাঁর জানা নেই।</p> <p>রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা যায়, যে দিনগুলোতে গোলাম মুর্শেদ খুলনায় দায়িত্ব পালন করেছেন, সে সময় তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনেও নিজেকে হাজির দেখিয়েছেন। নিয়েছেন বেতন-ভাতাসহ সব সুবিধা।</p> <p>রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরিফ উদ্দিন জানান, বিষয়টি তাঁর নজরে নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। খুলনায় যেতে ওই প্রকৌশলী অনুমতি নিয়েছিলেন কি না, সেটিও দেখা হবে।</p>