<p>পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজশাহীতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য ও তিনজন কারারক্ষী রয়েছেন। গত রবিবার বিকেলে ছিনতাই মামলায় তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে বিষয়টি ওই দিন রাতে নিশ্চিত করেন রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন খান।</p> <p>গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশের ভায়াট এলাকার সিদ্দিক মোল্লার ছেলে ও আরএমপির রিজার্ভ ফোর্সের কনস্টেবল সেলিম হোসেন (২২), বগুড়ার গাবতলী থানার রহিমাপাড়া এলাকার অমল চন্দ্রের ছেলে রাজশাহী কারাগারের কারারক্ষী অভি মান্য (২৬), বগুড়ার সোনাতলার তেকানী এলাকার আব্দুল জলিল আকনের ছেলে কারারক্ষী তোফায়েল (২৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার নয়ালাভাঙ্গার মৃত খাইরুল ইসলামের ছেলে কারারক্ষী রবিউল আউয়াল রুবেল (২৩)।</p> <p>ওসি শাহাদাত হোসেন জানান, শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী খুরশিদ জাহান তাঁর আত্মীয় জনিকে সঙ্গে নিয়ে টি বাঁধ থেকে হেঁটে ফিরছিলেন। এ সময় শিমলা পার্কের পাশে চারজন ব্যক্তি নিজেদের রাজপাড়া থানার পুলিশ সদস্য পরিচয় দেন। এরপর তাঁরা খুরশিদ ও জনিকে আটক করে শরীর তল্লাশি করেন। তবে সঙ্গে কিছু না পেয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেই টাকা না দিলে মাদক মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁদের দুজনকে টেনে-হিঁচড়ে বাঁধের ওপরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদেরকে ওই চারজন মিলে মারধর করেন। একপর্যায়ে তাঁরা দুই হাজার টাকা কেড়ে নেন। সেই সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন।</p> <p>ওসি বলেন, ঘটনার পরপরই খুরশিদ জাহান ও জনি থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। সঙ্গে সঙ্গে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় খুরশিদ তাঁদের শনাক্ত করলে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরেক কারারক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়।</p> <p>শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করা হয়। আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।</p>