<p>সিলেট বন বিভাগের অধীন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি বন রেঞ্জের কামারছড়া বন বিটের সংরক্ষিত বনের টিলায় টিলায় চলছে বৃক্ষ নিধন। অসাধু বন কর্মকর্তার যোগসাজশে বিগত তিন মাসে বিভিন্ন টিলা থেকে সেগুন, আকাশমণিসহ বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এভাবে দিন দিন বনভূমি গাছশূন্য হয়ে পড়ছে।</p> <p>কামারছড়া বন বিট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সীমান্তঘেঁষা দুর্গম এলাকার এ বনের টিলায় টিলায় গড়ে ওঠা নানা প্রজাতির মূল্যবান বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে টিলায় থাকা বড় গাছগুলো কেটে পাচার করা হচ্ছে। টিলায় টিলায় পড়ে রয়েছে গাছের মোথা। বিগত তিন মাসে এসব সংরক্ষিত বন থেকে শতাধিক গাছ কেটে পাচার করা হয়েছে। শুধু সংরিক্ষত বন নয়, উপকারভোগীদের সৃজনকৃত সামাজিক বনায়নের গাছগাছালিও কেটে সাবাড় করছে দুর্বৃত্তরা।</p> <p>অভিযোগ উঠেছে, খোদ বন বিভাগের লোকজন এসব গাছ পাচারের সঙ্গে জড়িত। চিহ্নিত পাচারকারীচক্র বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে বনের মূল্যবান গাছগুলো কেটে পাচার করছে বলে স্থানীয়রা জানায়।</p> <p>নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানায়, বন বিট কর্মকর্তার জ্ঞাতসারেই দেখভালের দায়িত্বে থাকা লোকজন এসব গাছ কেটে পাচার করছে। দুর্গম বনের টিলা থাকার সুবাদে প্রকাশ্যে নির্বিঘ্নে তারা গাছ কেটে পাচার করছে। বড় গাছগুলো আগেই কেটে ফেলা হয়েছে। এখন ছোট গাছগুলো কেটে নেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে বন বিভাগের বিট অফিসারকে জানালেও কাজ হয় না।</p> <p>তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কামারছড়া বন বিট কর্মকর্তা মীর বজলুর রহমান বলেন, আগের দু-একটি গাছ কাটা থাকতে পারে। রাজকান্দি বন রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, কামারছড়া সামাজিক বন এলাকায় এর আগে যে কয়টি গাছ কাটা হয়েছে, সে বিষয়ে মামলা হয়েছে। কাঠ পাচারে বন বিট কর্মকর্তা জড়িত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>