যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে অবৈধভাবে গড়ে উঠা নাভারন ব্রিকস। ছবি : কালের কণ্ঠ
যশোরের ঝিকরগাছায় নাভারন ব্রিকস নামের একটি অবৈধ ইটভাটার কারণে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। নির্বাসখোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের গা ঘেঁষে ইটভাটাটি গড়ে তোলা হয়। পাশেই রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাটার ধোঁয়া ও ধুলাবালুতে ওই স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। অবৈধ এ ভাটাটি বন্ধের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেও এলাকাবাসী কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, অবৈধ নাভারন ব্রিকসের ২০০ গজ দূরে রয়েছে নির্বাসখোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হোগলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একদিকে জনবসতি, অন্য দুই দিকে ফসলের মাঠ।
কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী জাহানারা খাতুন জানান, ভাটার ধোঁয়া-ধুলাবালুতে তাদের খুবই অসুবিধা হয়। শ্রেণিকক্ষে বসা যায় না। মাঠে খেলাধুলায়ও সমস্যা হয়।
নির্বাসখোলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করেন, ভাটার পাশে তাঁর জমিতে এখন আর আগের মতো আবাদ হয় না। তিনি ভাটাটি বন্ধের দাবি জানান।
পাশের হোগলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আহাদ অদক্ষ চালকদের কারণে ভাটার ট্রাকে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান।
‘ভাটা নিয়ে লিখবেন? লিখে কী হবে? সবখানে টাকা দিই। যা পারেন লেখেন’
আব্দুল হাই
মালিক
নাভারন ব্রিকস, ঝিকরগাছা, যশোর।
জানা গেছে, আগে ভাটাটি শার্শা উপজেলার নাভারনে ছিল। ২০১২ সালে এটি এখানে গড়ে তোলার পর লাইসেন্স আর নবায়ন করা হয়নি। ভাটাটিতে আটটি ট্রাক রয়েছে। কাজ করতে দেখা গেছে বেশ কয়েকজন শিশুকে।
এ বিষয়ে ভাটার ম্যানেজার তারিক সাইফুল্লাহ লাভলু জানান, ভাটার ট্রাকগুলোর কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। আর যে শিশুরা এখানে কাজ করছে, তারা মা-বাবার সঙ্গেই এখানে থাকে।
ভাটার মালিক আব্দুল হাই বলেন, ‘ভাটা নিয়ে লিখবেন? লিখে কী হবে? সবখানে টাকা দিই। যা পারেন লেখেন।’ এই কথা বলে তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাধন কুমার বিশ্বাস জানান, লাইসেন্স না থাকলে ইটভাটাটির সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মন্তব্য