<p>পাবনার ফরিদপুরে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু দাসকে পাবনা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে পাবনা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এ আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে এই দিন দুপুরে ঘুষ নেওয়া ও সাধারণ মানুষকে আটকে হয়রানির অভিযোগ তুলে ফরিদপুর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে এসআই মিন্টু দাসের প্রত্যাহার চেয়ে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। সে সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর রাতেই মিন্টুকে ক্লোজ করা হয়।</p> <p>জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পারফরিদপুর গ্রাম থেকে আব্দুল মুন্নাফ ও রাসেল হোসেন নামের সম্প্র্রতি দেশে আসা দুই প্রবাসীকে মাদক সেবনের সন্দেহে আটক করেন এসআই মিন্টু দাস। সৌদিপ্রবাসী মুন্নাফ ওই গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে ও মালয়েশিয়াপ্রবাসী রাসেল শামসুল প্রামাণিকের ছেলে। পরে রাতে আটক দুজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়ার চুক্তিতে উপপরিদর্শক মিন্টু দাসকে ২০ হাজার টাকা দেয় রাসেল ও মুন্নাফের পরিবার। কিন্তু গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মদ আলী নিজ কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রাসেল ও মুন্নাফকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন। এরপর পারফরিদপুর গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলোর শতাধিক মানুষ উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে জড়ো হয়ে উপপরিদর্শক মিন্টুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে থাকে।</p> <p>এ বিষয়ে ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মদ আলী বলেন, ‘ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে মাদক সেবনের অভিযোগে আটক দুই যুবকের জেল হওয়ার কারণে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে।’ ফরিদপুর থানার ওসি আবুল কাশেম এসআই মিন্টু দাসের ক্লোজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি ওই কর্মকর্তার ক্লোজ হওয়ার কারণ সম্ব্বন্ধে কিছু বলতে চাননি।</p>