<p>নরসিংদীতে জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান ওরফে সুইডেন আতাউরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় আগামী সোমবার আতাউরকে রাজধানীর ১ নম্বর সেগুনবাগিচা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান স্বাক্ষরিত আদেশে তাঁকে তলব করা হয়। আতাউর নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।</p> <p>দুদক সূত্রে জানা গেছে, আতাউর রহমান ওরফে সুইডেন আতাউর নরসিংদী শহরের বানিয়াচল এলাকার মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে শহরের চৌয়ালা এলাকার শত কোটি টাকা মূল্যের মোল্লা স্পিনিং মিল নামের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান দখল করে সুইডেন বাংলা টেক্সটাইল নাম দিয়ে পরিচালনা করার অভিযোগ ছিল। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ব্যাংক ঋণের বিপরীতে দায়বদ্ধ শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির অবৈধ দখলদার হিসেবে আতাউর রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংক।</p> <p>ব্যাংকের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্রেডিট বিভাগের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় দখলদার উচ্ছেদের দাবি জানানো হয়। মামলাটি প্রথমে পুলিশ তদন্ত করলেও আতাউর রহমানের প্রভাব ও নানা তদবিরে তা বাধাগ্রস্ত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি পুলিশ তাঁকে গত ৩১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর মালিবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। তখন থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অভিযোগ আসে দলীয় পদ ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের।</p> <p>এ ঘটনায় গত ৪ নভেম্বর কালের কণ্ঠে ‘আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে জালিয়াতি, ১০ বছরে ৫০০ কোটি টাকার সম্পদ সুইডেন আতাউরের’ শিরোনামে প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব সংবাদ দুদকের প্রধান কার্যালয়ের দৃষ্টিগোচর হলে আতাউরের দখলবাজির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ ডিসেম্বর সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামানকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষাপটে আতাউরকে ডেকে পাঠানো হয়।</p>