<p>যশোরের অভয়নগরে মন্দিরের মাইক বন্ধ না করায় শিব ও কালীমূর্তি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার দুপুরে আন্ধা গ্রামের ছোট আন্ধা কালীতলা মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে।</p> <p>এ ঘটনায় সুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। সুজন চলিশিয়া গ্রামের গফুর মোল্যার ছেলে।</p> <p>প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ওই মন্দিরের মাইকে গান বাজছিল। এ সময় সুজন সেখানে গিয়ে মাইক বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু অপারেটর মাইক বন্ধ না করায় ক্ষুব্ধ হয়ে একটি বাঁশের লাঠি দিয়ে প্রথমে মাইক, পরে শিব ও কালীমূর্তি ভাঙচুর করেন। এ সময় গ্রামবাসী এগিয়ে এলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।</p> <p>মন্দির কমিটির নেতা রণজিৎ বলেন, ‘শুক্রবার রাতে প্রতিমা দুটি বিসর্জন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।’</p> <p>খবর পেয়ে জেলা পুলিশের ‘খ’ সার্কেলের এএসপি জামাল আল নাসের ও অভয়নগর থানার ওসি তাজুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। পরে ওই ওসি চলিশিয়া গ্রামের মোল্যাপাড়া থেকে সুজনকে আটক করে মন্দির প্রাঙ্গণে নিয়ে যান।</p> <p>এ সময় উপস্থিত সবার সামনে সুজন দাবি করেন, ‘জুমার নামাজের কারণে মাইক বন্ধ করতে গিয়েছিলাম। খারাপ আচরণ করায় মাইক ভাঙচুর করি। তবে প্রতিমা দুটি ভাঙচুর করিনি, ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিলাম।’</p> <p>এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি তাজুল জানান, রাতে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে আটক সুজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।</p>