<p>কুড়িগ্রামের রাজীবপুর থানা-পুলিশ শুধু নামের মিল থাকায় রফিকুল ইসলাম নামের নিরপরাধ এক ব্যক্তিকে থানাহাজতে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়ে তাঁর পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নিরপরাধ রফিককে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর জেলাজুড়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। কিন্তু পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙেনি। দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।</p> <p>কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য, প্যানেল চেয়ারম্যান ও রাজীবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘থানাহাজতে আটকে রেখে চার আসামি ও নিরপরাধ রফিকুলের ওপর যেভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে তা মোটেও কাম্য নয়। তা ছাড়া ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সার ডিলার নুরুন্নবী মিয়া, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহের আলী মণ্ডল এবং করাতিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোসলেম উদ্দিনকে অন্যায়ভাবে আসামি করা হয়েছে। পুলিশের ওই অবৈধ কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।’</p> <p>এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, রাজীবপুরের ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় কোন কোন পুলিশ সদস্য জড়িত খোঁজ নেওয়া হবে।’</p> <p>প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে রাজীবপুর থানা থেকে ৫০ গজ দূরে হযরত আলী নামের এক মোটরসাইকেল মেকারের দোকানে হামলা চালায় করাতিপাড়া গ্রামের প্রায় অর্ধশত মানুষ। হামলাকারীরা হযরত আলীকে মারধর করে তাঁকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় সাদা পোশাকে উপস্থিত থাকা শফিক আহমেদ নামের এক পুলিশ সদস্য বাধা দিলে তাঁকেও মারধর করা হয়। পরে থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।</p> <p> </p>