<p>মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে গত বুধবার দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন আটজন সদস্য। অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ২০টি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তবে চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।</p> <p>লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, টিআর প্রকল্পে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে নাটুয়াবাড়ী আফাজের বাড়ি থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য ৪২ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান ওই বছর কোনো কাজ না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেন। পরের অর্থবছরে কাবিখা প্রকল্পে একই রাস্তায়  ৪.৯১৫ টন চাল বরাদ্দ হয়। চাল বিক্রি করে তিনি ওই রাস্তায় আংশিক কাজ করেছেন।</p> <p>২০১৭-১৮ অর্থবছরে টিআর প্রকল্পে চারটি মাজারে ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান কাগজে-কলমে চারটি মাজারে টাকা বরাদ্দ দেখান। কিন্তু উল্টাবাড়ী ও গালা মাজার কোনো টাকা পায়নি।</p> <p>২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঘড়িয়ালা ও নাটুয়াবাড়ী এলাকায় বাঁশের মাচা (সাঁকো) নির্মাণ বাবদ ৬১ হাজার ৪০০ টাকা কাজ না করে চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেছেন।</p> <p>২০১৬-১৭ অর্থবছরে আন্দিবাড়ী জয়নালের বাড়ি হতে বৈন্যা বাচ্চুর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ও দুটি পিআই সেতুর পাশে মাটি ভরাট বাবদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল। কোনো কাজ না করেই আত্মসাৎ করা হয়েছে।</p> <p>২০১৬-১৭ অর্থবছরে এলজিএসপি প্রকল্পের মাদক সেবন রোধ, বাল্যবিবাহ ও যৌতুক নিরোধ, সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দমন, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতামূলক সভা করার কথা। কিন্তু সভা না করে বরাদ্দের ২৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান। নিরালী হাই স্কুলে মাটি ভরাট বাবদ দুই লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। চেয়ারমান মাটি ভরাট না করেই পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন।</p> <p>অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তোফাজ্জল হোসেন, সংরক্ষিত নারী সদস্য আছমা আক্তার, শিউলি বেগম, ৪ নস্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাজাহান মিয়া, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নূরুল ইসলাম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য চান মিয়া, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোজাফর আলী ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল বারেক মিয়া।</p> <p>চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নিয়ম-কানুন মেনেই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে। টাকা আত্মসাতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’</p> <p>মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, ‘তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p> <p> </p> <p> </p>