<p>টঙ্গীর শিলমুন এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে টঙ্গী থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।</p> <p>নিহত সীমা আক্তার (১৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার রাসুল্লাবাদ গ্রামের মৃত ফরিদ মিয়ার মেয়ে। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। সীমা উপজেলার রাসুল্লাহবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।</p> <p>নবীনগর উপজেলার রাসুল্লাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও নিহত সীমার চাচা খন্দকার মনির হোসেন টেলিফোনে জানান, তাঁর ভাতিজি সীমা আক্তার গত ৩০ আগস্ট তার বড় বোন তাহমিনা বেগমের টঙ্গীর শিলমুন এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসে। পাশেই সীমার মামা খলিল মিয়ার বাড়ি। ওখানে আসার পর সীমার মামাতো ভাই কেটু সিগারেট ফ্যাক্টরির শ্রমিক সজল মিয়া (২০) তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাব সীমা প্রত্যাখ্যান করে। এতে সজল ক্ষিপ্ত হয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত শুক্রবার বিকেলে সীমা সজলদের বাড়ির ছাদে কাপড় শুকাতে গেলে সজল তাকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানি করে। এতে সীমা গুরুতর অসুস্থ পড়ে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সজল ও তার বড় ভাই মিলে তাকে সন্ধ্যায় বিবস্ত্র অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় ক্যাথারসিস হাসপাতাল ও পরে টঙ্গী শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু সজল ও জালাল সীমাকে ঢাকায় না নিয়ে স্থানীয় আবেদা হাসপাতালের দালাল বিল্লাল ও সালাউদ্দিনের মাধ্যমে টঙ্গীর আবেদা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে সে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা গেলে সজল ও তার বড় ভাই জালাল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তার বড় বোন তাহমিনাকে না জানিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফোন করে বলে, ‘আপনাদের মেয়ে সীমা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’ গ্রামের বাড়ি থেকে ফোন পেয়ে সীমার বড় বোন তাহমিনা আবেদা হাসপাতালে গেলে সজল ও জালাল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে টঙ্গী থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।</p> <p> </p>