লক্ষ্মীপুরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবু জাহের আহমেদ (৩৬) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সদর উপজেলার পশ্চিম লতিফপুর গ্রামে মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়ভাবে ধামা কালু নামে পরিচিত আবু জাহের সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আবু জাহের বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়।
বিজ্ঞাপন
তবে নিহতের মা খাদিজা বেগম তাঁর ছেলে নির্দোষ দাবি করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর ছেলে ডাকাতি করতে যায়নি।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, আবু জাহের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। সে জেলার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর প্রধান সহযোগীদের অন্যতম ছিল। কুমিল্লার দাউদকান্দিতে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্ধুকযুদ্ধে বিএনপি সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান জিসান নিহত হয়। আবু জাহেরের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর ও চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা রয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় পশ্চিম লতিফপুর গ্রামে একদল ডাকাত জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর ডাকাতরা গুলি চালায়। পুলিশও বেশ কয়েক রাউন্ড পাল্টা গুলি করে। বন্দুকযুদ্ধের পর ডাকাতরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে কালুর লাশ পড়ে থাকে। এ সময় এলজি-গুলিসহ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়।
নিহত কালুর বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কয়েকটি গুলির জখম ছিল। গতকাল বুধবার সকালে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। ডিবি পুলিশের চারজন সদস্য সামান্য আহত হয়ে ওই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. আরজুন বলেন, ডাকাতদের হামলা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) জুনায়েত কাউছার বলেন, ধামা কালু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ডাকাতদের সঙ্গেও তার সখ্য ছিল। এ ছাড়া চন্দ্রগঞ্জ থানা সন্ত্রাস নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার এক আসামির জবানবন্দিতে তার নাম এসেছে। কালুর বিরুদ্ধে থানায় দুটি মামলা রয়েছে।