পাঞ্জাবের লাহোর শহর। গুরু নানক থাকেন তাঁর মা-বাবার সঙ্গে। প্রতিদিন যান বাইন নদীতে গোসল করতে। একদিন গেলেন তাঁর মুসলমান বন্ধু মারকানার সঙ্গে।
[ ইতিহাসের পাতা ]
নিহাং
- ভারতের সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলনে নিহাংরা যোগ দিয়েছে। তারা রক্ষা করছে কৃষকদের জমি, জাতি, ঘর। আল সানী নিহাংদের সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন
অন্যান্য

মোগলদের কাল
শিখ গুরু অর্জন দেব ও তেগ বাহাদুর মোগলদের হাতে মারা পড়লেন। তখন দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিং নিহাংদের গড়ে তোলার কথা ভাবেন। দলটির আরেক নাম ‘আকাল পুরখ দ্যে ফৌজ বা ঈশ্বরের সেনাদল’।
হাসিখুশি
নিহংরা বেশ আমুদে। শারদাই বা শরবতি দেঘ এরা খুব ভালোবাসে। এটি এক ধরনের পানীয়। ওই সময়ে এতে চিনাবাদাম, এলাচি, পোস্তদানা, মরিচগুঁড়া, গোলাপের পাপড়ি, তরমুজের বীজ এবং আরো অনেক কিছু মেশানো হতো। এর সঙ্গে সামান্য সিদ্ধি হলেই হয়ে যায় সুখনিদান। সিদ্ধির পরিমাণ আরেকটু বাড়ালেই হয় শহিদি দেঘ।
শিখদের মধ্যে নীল নিহাংরা এখন ক্ষুদ্র একটি সম্প্রদায়। ১০টি গোষ্ঠী রয়েছে এখন এদের। একেক গোষ্ঠীতে আছে একজন করে নেতা। এরা নীল ঐতিহ্য মেনে চলে। আর এদের মধ্যে বুধা দল, তরুণা দল বেশ শক্তিশালী। পুরো বছর এরা নিজেদের আস্তানায় থাকে। বছরে একবার অমৃতসরের বার্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। সেখানে ওরা নিজেদের যুদ্ধকৌশল ও ঘোড়সওয়ারির কৌশল দেখায় সবাইকে। নিহাংরা কখনোই নিরস্ত্র ব্যক্তিকে আক্রমণ করে না। নিহাং দলে যোগ দেওয়া বিশেষ কঠিন কিছু না। তবে তারা চুল কাটতে পারবে না। তাদের মেনে চলতে হবে পঞ্চ বাণী। প্রতিদিন রাত ১টায় গোসল করতে হবে। সকালে ও সন্ধ্যায় প্রার্থনা করতে হবে। গোষ্ঠীভুক্তি পর্বে এগুলো মেনে চললেই অমৃত সঞ্চার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাকাপাকিভাবে নিহাং হওয়া যায়। তখন তাকে একটি নতুন নাম দেওয়া হয় এবং গুরু গোবিন্দ সিং খালসা প্রতিষ্ঠার সময়ে যে জোব্বা পরেছিলেন এবং যে অস্ত্র ধারণ করেছিলেন, সেগুলোই তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সম্পর্কিত খবর