আড়াই বছর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। দুই দফায় তদন্ত শেষে বিমানের তৎকালীন উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মেজর তাইজ ইবনে আনোয়ারসহ ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হলেও তাঁরা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। এজাহারের সঙ্গে অভিযোগপত্রের ধারার অমিল, অধিকতর তদন্তে সাক্ষীদের পুনরায় জবানবন্দি গ্রহণ না করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত কেউ অভিযোগ না দেওয়ায় আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত অভিযুক্ত সবাইকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।
ওই আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৫ ধারায় মামলা করা হয়। তদন্ত শেষে একই আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অভিযোগপত্র নাকচ করেন এবং মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে তদন্ত শেষে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৩, ৪০৬, ৪১১ ও ১০৯ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। কিন্তু অভিযোগপত্রে এসব ধারার অপরাধের কোনো বিবরণ মামলার এজাহারে নেই। ফলে অভিযোগপত্রের ধারাগুলো এজাহারে বর্ণিত অপরাধ আকৃষ্ট করে না। এ ছাড়া অধিকতর তদন্তের আদেশ প্রদানের পর পুনরায় সাক্ষীদের জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারা অনুযায়ী রেকর্ড করার আবশ্যকতা থাকলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা তা করেননি। আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে অধিকতর তদন্তের পর যেসব ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে, সেসব ধারার অপরাধ তথা প্রতারণা, অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ ও আত্মসাতের বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি।
তাইজ ছাড়া অব্যাহতিপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন বিমানের শিডিউলিং সুপারভাইজার মাহবুব আলম শরীফ, সিকিউরিটি গার্ড আইউব উদ্দিন, এমটি অপারেটর মহসিন আলী, মিজানুর রহমান, ফারুক হোসেন, নজরুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, জাহাঙ্গীর আলম, মো. মাসুদ, মো. মাহবুব আলী, এনামুল হক প্রমুখ।