দিনাজপুর খানসামা উপজেলার উত্তর নলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে আলু রাখায় পাঠদান ব্যাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছে। আলু মজুদকারী তোফাজ্জল হোসেন শাহ বলেছেন, ঈদের ছুটিতে আলু রাখলেও তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ঈদের ছুটির সময় বিদ্যালয়ের জমিদাতা নুরুল ইসলাম শাহের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন শাহ স্কুলের কাছের জমিতে আলু উত্তোলন করেন।
সেই আলু টিনশেডের দুটি কক্ষে মেঝেতে রাখেন। স্কুলের বারান্দায়ও রাখা হয় বস্তাভর্তি আলু। এ জন্য সরিয়ে রাখা হয় বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষের বসার বেঞ্চগুলো। এতে শ্রেণিকক্ষগুলো পাঠদানের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে বসতে না পেরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্লাস না করে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
শিক্ষার্থী রাকিব ইসলাম বলে, ‘আমরা স্কুলে আসি, কিন্তু ক্লাস হয় না। ক্লাসরুমে আলু রাখার কারণে আমরা ক্লাস করতে পারছি না। হাজিরা দিয়েই বাড়ি চলে আসি।
’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তোফাজ্জল হোসেন শাহ বলেন, ‘স্কুলের পাশে জমি থেকে আলু তুলেছিলাম। দাম কম থাকায় বিক্রি করতে পারিনি। তাই স্কুল ছুটি থাকায় দুটি রুমে আলু রেখেছিলাম। বৃহস্পতিবার তা সরিয়ে নিয়েছি।’
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মহসিন আলী বলেন, ‘স্কুল বন্ধের সময় শ্রেণিকক্ষে আলু রেখেছিল।
স্কুল খোলার আগে একাধিকবার অনুরোধ করলেও আলু সরাননি। পরে বৃহস্পতিবার আলু সরিয়ে নিয়েছেন।’
খানসামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনজুরুল হক বলেন, ‘খবর পেয়েছি যিনি আলু রেখেছিলেন তিনি আলু সরিয়ে নিয়েছেন। তার পরও আমরা বিষয়টি তদন্ত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’