<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলমান বন্যার সময় বিজ্ঞানভিত্তিক ও দক্ষভাবে ত্রাণসামগ্রী বিতরণে ঘাটতি ছিল। পাশাপাশি বন্যা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রস্তুতি না থাকায় ক্ষতি বেশি হয়েছে। এখন বন্যায় আক্রান্ত এলাকার মানুষের জন্য সঠিক ও দক্ষভাবে বিজ্ঞানসম্মত পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তা না হলে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স ও ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ২০ আগস্ট আকস্মিক বন্যার পরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স ও ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা জরুরি পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন। শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে সার্বিক কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিয়েছেন ফাতেমা আক্তার পিয়া, শিতাব যাবী ইভান ও জাইমা জান্নাত ঈশিকা। শিক্ষার্থীরা ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লায় বন্যার ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। দুর্যোগকবলিত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে গবেষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে মানুষের অজ্ঞতা ও অনাগ্রহ কাজ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বন্যার সতর্কতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। নিরাপদ স্থানে যেতে অনিচ্ছুক ছিলেন। বন্যার সময় অনেক চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্বেচ্ছাসেবকদের থাকার জন্য উপযুক্ত কোনো স্থান ছিল না, যা তাঁদের কার্যক্রমকে কঠিন করে তুলেছিল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বন্যা-পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে একটি পুনর্বাসন মডেল তৈরি করেছেন শিক্ষার্থীরা। পুনর্বাসন, আয়বর্ধক কার্যক্রম, খাদ্য সহায়তা ও স্বাস্থ্যসেবা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই চারটি বিষয় নিয়ে মডেলটি তৈরি করা হয়েছে। এই মডেল কার্যক্রমের মধ্যে শিক্ষার্থীরা ৫০টি পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে দিয়েছেন, ক্ষতি মেরামত এবং পুনর্গঠনের জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। ৫০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জীবিকা পুনরুদ্ধার এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের মধ্যে গবাদি পশু বিতরণ করেছেন। দুই হাজার পরিবারকে চিকিৎসা, আঘাতের সেবা, রোগ প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খাদ্য বিতরণ ও বন্যা সম্পর্কে অধিকতর সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, নানা কারণে ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায়নি এবং দুর্যোগ মোকাবেলা কঠিন হয়ে গেছে। বাংলাদেশের আন্তসীমান্ত নদীগুলোতে ভারতীয় সরকার বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বাঁধ এবং ব্যারাজ দিয়েছে।</span></span></span></span></p> <p> </p>