<p>কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের উটপাখি ও ইমু পাখির ঘরে এসেছে বেশ কয়েকটি নতুন অতিথি। এসব নতুন অতিথি আলোকিত করেছে বিরল প্রজাতির এই দুই পাখির বেষ্টনী। এর আগে এই দুই প্রজাতির পাখির দেওয়া ডিম থেকে বেশ কয়েকটি বাচ্চা ফুটেছে। এসব বাচ্চাকে পার্কের বন্য প্রাণী হাসপাতালের কোয়ারেন্টিন শেডে রেখে বেশ যত্ন-আত্তির মাধ্যমে বড় করে তোলা হয়।</p> <p>পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, সম্প্রতি পার্কের উটপাখি বেষ্টনীতে থাকাবস্থায় বেশ কয়েকটি ডিম দেয়। সেই ডিম সংগ্রহের পর মাসহ নিয়ে রাখা হয় পার্কের বন্য প্রাণী হাসপাতালের কোয়ারেন্টিন শেডে। সেখানে বেশ কয়েক দিন পর ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে তিনটি। বর্তমানে এই তিন বাচ্চা মায়ের সঙ্গে রয়েছে এবং হাসপাতালের শেডে বিচরণ করছে। একই সঙ্গে চারটি বাচ্চা ফোটে ইমু পাখির ঘরে। সেই চার বাচ্চাকে রাখা হয় আলাদা কোয়ারেন্টিন শেডে। পার্ক কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, বিরল প্রজাতির উটপাখি ও ইমু পাখির ডিম থেকে ফোটা সাতটি বাচ্চাকে বড় করে তোলার জন্য দুজন পরিচর্যাকারী নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁরা প্রতিদিন এসব বাচ্চার দেখভাল করাসহ বড় করে তোলায় যাবতীয় কাজ করছেন।</p> <p>সম্প্রতি পার্কের বন্য প্রাণী হাসপাতালের কোয়ারেন্টিন শেডে গিয়ে দেখা যায়, মায়ের সঙ্গে ফুটফুটে তিনটি উটপাখির বাচ্চা বেষ্টনীর চারপাশে ঘুরছে। মায়ের সঙ্গে নিয়মিত খাবারও খাচ্ছে। অন্যদিকে ইমু পাখির চার বাচ্চাকে আলাদা করে রেখে সেখানে প্রয়োজনীয় খাবার দেওয়া হয়েছে। এসব বাচ্চা সেই খাবার খেয়ে চারপাশে বিচরণ করছে।  পরিচর্যাকারী এরশাদ আলী ও সাজেদুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন নিয়ম করে এসব বাচ্চাকে পরিমাণমতো খাবার হিসেবে দেওয়া হয় কলমিশাক, পোলট্রি ফিড ও বাঁধাকপি। এতে দিন দিন এসব বাচ্চা বড় হচ্ছে দেখে নিজেদেরও ভালো লাগছে।’</p>