দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়া সংসদ সদস্যদের নিজের এলাকা নিয়ে ভাবনাগুলো তুলে ধরছে কালের কণ্ঠ
সিংগাইর-হরিরামপুর ও সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-২ আসন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের তিনবারের এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শিল্পপতি দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। তাঁর নির্বাচনী প্রধান প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে ছিল ভাষাশহীদ রফিক সেতুর টোল মওকুফ ও হরিরামপুর উপজেলার ভাঙনরোধে স্থায়ীভাবে পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ।
এ ছাড়া মাদক, সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে স্মার্ট দক্ষিণ মানিকগঞ্জ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু।
শপথ নেওয়ার পর থেকে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন তিনি। জেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
তিনি গড়ে তুলেছেন ইলমা ইয়ার্ন ট্রেড, এক্সিস নিটওয়্যারস ও ইলমা নিটিং অ্যান্ড প্রিন্টিং নামের তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। যেখানে সৃষ্টি হয়েছে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান।
তিনি সব সময় স্বপ্ন দেখেন হানাহানি, ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত একটি সমাজ গড়ার।
দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু বলেন, ‘আমার রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো এবং জাতির কল্যাণে কাজ করা। নিজের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য নয়। স্বাধীনতার পর দক্ষিণ মানিকগঞ্জ থেকে যাঁরা এমপি ও মন্ত্রী হয়েছেন, তাঁরা কেউ জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি।
জননেত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও যোগ্য
নেতৃত্বের অভাবে দক্ষিণ মানিকগঞ্জ আজও অবহেলিত।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান দক্ষিণ মানিকগঞ্জবাসীর প্রধান দুটি সমস্যা হলো ভাষাশহীদ রফিক সেতুর টোল ও হরিরামপুর উপজেলার পদ্মা নদীর ভাঙন। এই দুটি সমস্যার সমাধানসহ যেসব প্রত্যাশা নিয়ে জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছেন, জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ ও সবার জন্য বাসযোগ্য স্মার্ট দক্ষিণ মানিকগঞ্জ গড়ব।’