<p>চলাচলের রাস্তা ও নির্বাচনী দ্বন্দ্বের জেরে জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত হুদি গোষ্ঠীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রামাণিক গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় খায়রুল ইসলাম (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ, ডিবি ও র‌্যাবের সদস্যরা।</p> <p>গতকাল শুক্রবার বিকেলে পাবনা ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি আলহাজ মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত খায়রুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত নসিম উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। তিনি সাহাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের মধ্যে সাজু হুদী (৫০), সাহাবুদ্দিন (৫০), জামাত ফকির (৫০), নাসিরউদ্দিন (৩০), জিল্লুর (৫০), তরিকুল (৪০), শাহ জামাল (৪০), আন্টু (৩০), হুজুর আলী (৫৮), নাসিরের (৩০) নাম জানা গেছে।</p> <p>এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র বলছে, বেশ কিছুদিন ধরে চলাচলের রাস্তা, জমিজমা ও নির্বাচনকালীন বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রামাণিক গোষ্ঠীর সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত হুদি গোষ্ঠীর বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত হুজুর আলীকে মারধর করে হুদি গোষ্ঠীর লোকজন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হলেও উত্তেজনা থেকেই যায়।  তা থেকেই শুক্রবার দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ বাধে। এতে ধারালো হাঁসুয়া, চাপাতি, রডের আঘাতে দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। এর মধ্যে খায়রুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। হাঁসুয়ার আঘাতে হুদি গোষ্ঠীর ঈসাই প্রামাণিকের (৪৮) বাঁ হাতের কনুই পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।</p> <p>নিহত খায়রুল ইসলাম প্রামাণিকের ভাতিজা মাহমুদ জুয়েল অভিযোগ করে জানান, ঘটনার দিন দুপুরে জামাত ফকির নামে তাঁর এক চাচা বাড়িতে আসার সময় হুদি গোষ্ঠীর লোকজন মারধর করে। খবর শুনে লোকজন এগিয়ে গেলে হুদি গোষ্ঠীর মকলেছুর রহমান মজনু, রিয়াজুল, শাহিন ও নুরুর নেতৃত্বে ২০ থেকে ৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে তাঁর চাচা খায়রুল মারা যান। আহত হয়েছে আরো ১২-১৫ জন।  ঈশ্বরদী থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় খায়রুল ইসলাম নামের একজন মারা গেছেন। অনেকেই আহত হয়েছে।</p>