<p>পৌষ মাসের শেষ দিন বা পৌষসংক্রান্তি আজ রবিবার। পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের সাকরাইন উৎসবে মেতে ওঠার দিন। এ উৎসবের মূল আকর্ষণ ঘুড়ি উড়ানো। তাই এটি ঘুড়ি উৎসব নামেও পরিচিত। গতকাল শনিবারসহ কয়েক দিন ধরে পুরান ঢাকার অলিগলিতে চলেছে ঘুড়ি বেচাকেনার ধুম।</p> <p>শিশু থেকে তরুণ, বৃদ্ধরা কিনেছেন নাটাই-ঘুড়ি। চলেছে সুতায় মাঞ্জা দেওয়ার কাজ। সাকরাইনে ঘুড়ি উড়ানোর পাশাপাশি সন্ধ্যায় বর্ণিল আতশবাজি ও রং-বেরঙের ফানুসে ছেয়ে যায় বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী শহরের আকাশ। ভবনের ছাদে হয়ে থাকে নানা আয়োজন। সাকরাইন উপলক্ষে এবারও সাজানো হয়েছে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা।</p> <p>সূত্রাপুর, নবাবপুর, শ্যামবাজার, ধূপখোলা, শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, ফরাশগঞ্জ, সদরঘাট, গেণ্ডারিয়া, নারিন্দা, লালবাগ, চকবাজার, মুরগিটোলা, ধোলাইখালসহ বিভিন্ন এলাকায় গতকাল সাকরাইনের আমেজ দেখা গেছে। ধূপখোলাসহ বিভিন্ন এলাকার ঘুড়ির দোকানগুলোয় পাওয়া যাচ্ছে চোখদার, রকদার, গরুদার, ভোমাদার, কাউঠাদার, মাছলেঞ্জা, ফিতালেঞ্জা, একরঙা, চানতারা, সাপঘুড়ি, প্রজাপতি, পেঁচা, বাক্স প্রভৃতি ঘুড়ি।</p> <p>ধূপখোলার ব্যবসায়ী নয়ন মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অর্ডার কমে গেছে, তার পরও মোটামুটি চলছে। আমরা বছরজুড়েই ঘুড়ি-নাটাইয়ের ব্যবসা করি। সাকরাইন উপলক্ষে অন্যরকম আমেজ সৃষ্টি হয়। মূল ক্রেতা তরুণ-তরুণীরা।’</p> <p>গেণ্ডারিয়া থেকে শাঁখারীবাজারে ঘুড়ি কিনতে এসেছে তাসকিন ও তার বন্ধু হাসিবুল। দুজনই পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা বলে, তাদের কাছে এই উৎসব অনেক ভালো লাগে। প্রতিবছর পৌষ মাস এলে আনন্দ লাগে। ঘুড়ি উড়ায়, বন্ধুদের সঙ্গে কাটাকাটি করে ভালোই লাগে।</p> <p>ধোলাইখাল থেকে শাওন মুন্সি তাঁর সন্তানকে নিয়ে বাংলাবাজারে এসেছেন ঘুড়ি কিনতে। তিনি বলেন, ‘একসময় আমরা ঘুড়ি উড়িয়েছি। এখন আমাদের বাচ্চাদের সময়। তাই তাদের জন্য প্রতিবছর ঘুড়ি কিনে দিতে হয়।’</p> <p>আবু জাফর নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘পুরান ঢাকায় সাকরাইন সবচেয়ে বড় উৎসব। ঘুড়ি উড়ানোর পাশাপাশি পৌষসংক্রান্তির পিঠা উৎসব করা হয়ে থাকে। এ উৎসবে স্থানীয়রা আত্মীয়স্বজনদের নিমন্ত্রণ করে থাকে।</p> <p> </p>