সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ গতকাল সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই আদেশে চেয়ারম্যান বাবুকে চূড়ান্তভাবে কেন অপসারণ করা হবে না তা জানিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে হবে।
সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় গত শনিবার পঞ্চগড় থেকে চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে আছেন।
এদিকে সাংবাদিক হত্যা মমলার অন্যতম আসামি চেয়ারম্যান বাবুর ছেলে বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক ফাহিম ফয়সাল রিফাতের হাতে (২৩) পিস্তল থাকার একটি ছবি গতকাল ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কোন জায়গার এবং কোন সময়ের ছটি এটি, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হলেও তাঁর ছেলে রিফাত এখনো পলাতক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. সোহেল রানা বলেন, ‘ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। রিফাত গ্রেপ্তার হলে অস্ত্রের রহস্যও বেরিয়ে আসবে।’
এদিকে নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তাঁর স্বামী হত্যার বিচার চাওয়ার আকুতি জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনারা আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ করে দেবেন।
আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
নির্ভীক সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম স্মরণে গতকাল জামালপুর প্রেস ক্লাব আয়োজিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে আবেগজড়িত কণ্ঠে এই প্রতিক্রিয়া জানান মনিরা বেগম।
মনিরা বেগম আরো বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পর একজন স্ত্রীর ঘরে থাকার কথা। কিন্তু আমি একটা মিনিটও ঘরে থাকতে পারছি না।
’
অনুষ্ঠানে নাদিমের তিন সন্তান আব্দুল্লাহ আল মামুন রিফাত, রাব্বিলাতুল জান্নাত ও রিশাদ আব্দুল্লাহ উপস্থিত ছিল।