মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আট মাসে পল্লী বিদ্যুতের ৫০টি ট্রান্সফরমার ও ২১৩ মিটার তার চুরি হয়েছে। ৩৭ বার চুরির ঘটনায় প্রতিবারই শ্রীনগর থানায় এফআরআই করা হলেও মামলা হয়েছে মাত্র দুটি ঘটনায়।
জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত উপজেলার কুকুটিয়া, ষোলঘর, আটপাড়া, পাটাভোগ, হাঁসাড়া, কোলাপাড়া, তন্তুর, বীরতারা ও শ্রীনগর ইউনিয়ন থেকে ৫০টি ট্রান্সফরমার ও আটপাড়া, হাঁসাড়া ও শ্রীনগর ইউনিয়ন থেকে ২১৩ মিটার বৈদ্যুতিক তার চুরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির গত সভায়ও আলোচনা হয়েছে।
শ্রীনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্র জানায়, চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমার ও তারের অনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম অনুসারে প্রথমবার ট্রান্সফরমার চুরি হলে এর অর্ধেক মূল্য গ্রাহক ও অর্ধেক মূল্য সমিতি বহন করে। কিন্তু একই স্থান থেকে দ্বিতীয় বা তার বেশিবার চুরি হলে পুরো অর্থ গ্রাহককেই দিতে হয়।
গত ৬ জুন রাতে আটপাড়া ইউনিয়নের নন্দীপাড়া এলাকায় ট্রান্সফরমার চুরির সময় বৈদ্যুতিক শকে খুটির ওপর থেকে নিচে পড়ে যান চোর রাসেল শিকদার।
স্থানীয়রা তাঁকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর হাঁসাড়া এলাকায় ৩৩ কেবি সঞ্চালন লাইনের তার চুরি করার সময় কেরানীগঞ্জের বাস্তা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলে নাদিমকে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা মোটরসাইকেলসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
শ্রীনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মদন গোপাল সাহা বলেন, ‘ট্রান্সফরমার ও তার চুরির ৩৭টি ঘটনায় প্রতিবারই শ্রীনগর থানায় এফআইআর করা হয়েছে।’