কান আমাদের শ্রবণ অঙ্গ। এটা আমাদের শরীরে ভারসাম্য রক্ষা করে। কানের তিনটি অংশ : বহিঃকর্ণ, মধ্যকর্ণ ও অন্তঃকর্ণ। কান দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পুঁজ বা পানি পড়াকে আমরা সাধারণত কান পাকা রোগ বলে থাকি।
দাওয়াই
কান পাকা রোগ থেকে মুক্তির উপায়

এটি খুবই অপ্রীতিকর এবং ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।
কাদের বেশি হয় এবং কেন হয়?
কান পাকা রোগ হওয়ার মূল কারণ হলো মধ্য কর্ণের প্রদাহ। যদি এটা দ্রুত রোগ নির্ণয় করা না যায় অথবা অপর্যাপ্ত চিকিৎসা নেওয়া হয় তবেই দীর্ঘমেয়াদি কান পাকা রোগ হয়।
উপসর্গ
কান দিয়ে পুঁজ, পানি বা রক্তমিশ্রিত তরল বের হওয়া। এটা একটানা অথবা কিছুদিন পর পর হতে পারে। এই তরল দুর্গন্ধযুক্ত বা গন্ধহীন হতে পারে।
সামান্য ঠাণ্ডা-সর্দি লাগলেই কান থেকে পানি বা পুঁজ পড়া পুনরায় শুরু হয়ে যায়।
কানে ভার ভার ভাব বা হঠাৎ প্রদাহের ফলে অনেকের কানে তীব্র ব্যথাসহ জ্বর আসতে পারে।
কান চুলকানো। কানে কম শোনা।
মাথা ঘোরা। কান ও মাথার ভেতরে ভোঁ ভোঁ শব্দ হওয়া।
চিকিৎসা
কানের পর্দায় ছিদ্র থাকলে অবশ্যই কান শুকনা রাখতে হবে। কানের ভেতর যেন পানি না যায়।
গোসল করার সময় পরিষ্কার তুলা তেলে চুবিয়ে সেই তুলা চিপে আলগা তেল বাইরে ফেলে দেবেন। এরপর সেই তেলে ভেজা তুলা কানে গুঁজে মগ দিয়ে গোসল করতে হবে। গোসলের পর তুলা খুলে নেবেন। অথবা ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করতে পারবেন। কোনো অবস্থায় পানিতে সাঁতার কাটা বা ঝরনার পানিতে গোসল করা যাবে না।
কানে ইনফেকশন থাকলে কানের চিকিৎসকের কাছে গিয়ে কানটি ঠিকমতো পরিষ্কার করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে এটি করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারলে সাধারণত এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে পর্দার ছোটখাটো ছিদ্র প্রাকৃতিক নিয়মে জোড়া লাগতে দেখা যায়।
পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও নিয়ম মানার পরও যদি দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে কানের পর্দা জোড়া না লাগে, তাহলে একটা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মাইক্রোসার্জারি করে পর্দা জোড়া লাগিয়ে দেওয়া হয়।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. আলমগীর মো. সোয়েব
সিনিয়র কনসালট্যান্ট (ইএনটি)
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
সম্পর্কিত খবর

বর্ষায়ও হাতিরঝিলের পানি দূষণ


জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে আজ দেশব্যাপী চলচ্চিত্র প্রদর্শনী
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে আজ রবিবার দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘পিপল হু ফট ফর আস’ ও ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট : স্টোরি অব মুশতাক আহমদ’সহ জুলাইয়ের চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। ঢাকায় মিরপুর-১০ ও বছিলায় শহীদদের স্মরণে সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে এসব আয়োজন করা হবে। গতকাল শনিবার সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়।
তথ্য বিবরণীতে আরো বলা হয়েছে, আজ ২০ জুলাই ‘গণহত্যা ও ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ দিবস’ স্মরণে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিউজিক ভিডিও শেয়ার করা হবে, যার থিম মিউজিক হবে ‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’। কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন ‘একটি শহিদ পরিবারের সাক্ষ্য’ ডকুমেন্টারির পার্ট-৬ প্রচার এবং একজন জুলাই যোদ্ধার স্মৃতিচারণার ভিডিও শেয়ার করা হবে। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হবে। সব মোবাইল গ্রাহকের কাছে ভিডিওর ইউআরএল পাঠানো হবে।

আদিলুর রহমান খান
ঢাকা শহরে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাবি প্রতিনিধি

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ‘ঢাকা শহরে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সময়ে মানুষকে ঢাকাকেন্দ্রিক করে ফেলা হয়েছে। ঢাকার সঙ্গে আশপাশের জেলাগুলোর ভালো সংযোগ স্থাপন করা হয়নি। ফলে মানুষ কাজের জন্য ঢাকা এলেও, কাজ সেরে ফিরে যেতে পারছে না।
গতকাল শনিবার বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগ আয়োজিত ‘ঢাকায় নিম্নবিত্তের সাশ্রয়ী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আবাসন’ শীর্ষক এক বিশেষ ডিজাইন-গবেষণা উপস্থাপনা ও আলোচনায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর প্লট ও ফ্ল্যাট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা বাতিল করেছে সরকার। স্বল্প আয়ের মানুষের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে রাজউক থেকে লটারির মাধ্যমে অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি হলে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের ফলাফল হাতে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন আদিলুর রহমান খান।
উপদেষ্টা বলেন, নতুন করে যেন বাংলাদেশে কখনোই আর ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে।

শিক্ষাঙ্গন
