হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনায় কবলিত ব্যক্তি ৯৯৯-এ সহযোগিতা চেয়ে ফোন করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অবস্থান জানাতে পারে না। পুলিশ অনেকক্ষণ চেষ্টার পর অবস্থান জেনে ব্যবস্থা নিতে নিতে ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ৯৯৯-এ যুক্ত করা হচ্ছে অটোমেটেড কলার সিস্টেম।
এটি চালু হওয়ার পর দুর্ঘটনায় কবলিত ব্যক্তিকে বলতে হবে না তিনি কোন জায়গা থেকে কল করেছেন।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ জেনে যেতে পারবে বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় থানাকে জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
সিস্টেমটি নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্তও হয়েছে। বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘খুব শিগগিরই সিস্টেমটি চালু হবে। সব পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে আমাদের। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এখন।’
৯৯৯-এর কর্মকর্তারা বলেন, অটো কলার ট্র্যাকার চালুর পর মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও অপ্রয়োজনীয় ফোন রোধ করা যাবে। কেউ যদি ৯৯৯-এ ফোন করে ‘আগুন, আগুন’ বলে তাহলেই বুঝে নেওয়া যাবে ওই লোকেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কলারকে লাইনে রেখেই স্থানীয় থানা, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুল্যান্সকে খবর দেওয়ার মতো ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া কালবৈশাখী ঝড়ের সময় অনেক বেশি কল আসে।
সাগর বা নদীতে নৌযান আটকে পড়ে, অনেক গাছপালা উপড়ে পড়ে। এসব ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর ৯৯৯ সেবাটি চালু হয়। এর পর থেকে গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চার কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৬১টি কল এসেছে। এর মধ্যে ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮২টি কল সরাসরি সমাধানযোগ্য ছিল। কলের এক কোটি ৮০ লাখ ৬৬ হাজার ৬২২টির বিপরীতে কোনো না কোনোভাবে সার্ভিস দেওয়া হয়েছে, যা মোট কলের ৪১.২০ শতাংশ।
৯৯৯-এর ইন্সপেক্টর আনোয়ার সাত্তার বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের একসঙ্গে ৮০টি কল রিসিভ করার সক্ষমতা রয়েছে। দিন দিন এই সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা কর্মীরা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার কল আসছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই সার্ভিসযোগ্য কল।’ তিনি আরো বলেন, অটো ট্র্যাকার সিস্টেম চালু হলে কেউ ৯৯৯-এ কল করার পর শুধু কী ধরনের সমস্যায় পড়েছে, সেটা জানতে চাওয়া হবে। এতে সময় বাঁচবে।