<p>ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক (বর্তমানে যুগ্ম জেলা জজ) নির্মলেন্দু দাশের সঙ্গে অভব্য আচরণ করায় খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ তিন আইনজীবীকে তিরস্কার করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ তাঁদের তিরস্কার করেন।</p> <p>গতকাল মঙ্গলবার শুনানির শুরুতে সাইফুল ইসলামসহ তিন আইনজীবীর পক্ষে আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।</p> <p>এ সময় বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বারের সভাপতি সাইফুল ইসলামকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘কোনো সভ্য মানুষ কি বিচারকের সঙ্গে এ আচরণ করতে পারে?  তিনি কি বার সভাপতি হয়ে আদালতে দাপট  দেখাচ্ছেন?  আপনারা কেন এসব লোকের পক্ষ নিয়ে আদালতে আসেন? আপনারা তাঁদের পক্ষ নিলে আমরা বিব্রত হই।’</p> <p>এ সময় অভব্য আচরণের জন্য আদালতের কাছে ক্ষমা চান খুলনা বার সভাপতি। বলেন, ‘আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি।’</p> <p>এ পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘আমরা লজ্জিত এবং একই সঙ্গে তাঁদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি।’</p> <p>জবাবে আদালত বলেন, ‘যারা আদালত অবমাননা করে, বিচারকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে, আপনারা তাদের পক্ষ নিয়ে আর কখনো আসবেন না। এ ধরনের ব্যক্তিদের  প্রশ্রয় দিবেন না।’</p> <p>গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির দপ্তরে অভিযোগ দেন বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা জজ নির্মলেন্দু দাশ। সে অভিযোগ প্রধান বিচারপতির সামনে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী। পরে গত ২৫ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি অভিযোগটি হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপন করতে বলেন। সে অনুযায়ী গত ১ নভেম্বর খুলনা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক নির্মলেন্দু দাশের অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়। পরে হাইকোর্ট অভব্য আচরণ ও আদালত অবমাননার অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ তিন আইনজীবীকে তলব করেন হাইকোর্ট।</p>