সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ

তোফায়েল আহমদ, ঘুমধুম সীমান্ত থেকে
তোফায়েল আহমদ, ঘুমধুম সীমান্ত থেকে
শেয়ার
সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ

মিয়ানমার সীমান্তে অব্যাহত গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত সড়ক নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে গতকাল মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ছোড়া একটি গুলি এসে পড়ে উখিয়া সীমান্তের নাফ নদ তীরের আনজুমানপাড়া ওয়াকফ স্টেটের ধানক্ষেতে। সেখানে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন একজন কৃষক।

গতকাল বৃহস্পতিবারও সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি অংশের তুমব্রু ও ঘুমধুম এবং কক্সবাজারের উখিয়ার আনজুমানপাড়া পয়েন্টে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দে কেঁপে ওঠে সীমান্ত এলাকা।

ফলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এবং কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

সীমান্ত পরিস্থিতি কতটা নাজুক, তা বোঝা গেল গতকাল দুপুরে ঘুমধুম ইউনিয়নের বেতবুনিয়া বাজারসংলগ্ন বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে। সেখানে কর্তব্যরত বিজিবির দুজন সদস্যের কাছে পরিচয় দিয়ে সীমান্তে যেতে চাইলে একজন ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সুবেদার শহিদুল্লাহর কাছে ওয়াকিটকিতে অনুমতি চাইলেন। উত্তরে তিনি বললেন, ‘ওখানে যেতে চাইলে আগে সাংবাদিকের গাড়িটি বুলেট প্রুপ করিয়ে নিতে বলেন।

না হলে আমরা তাঁর দায়দায়িত্ব নিতে পারব না।’

সেখান থেকে হাইওয়ে সড়ক ধরে ঘুমধুম বিজিবির আরেকটি পয়েন্টে গেলে কর্তব্যরত সদস্যরা দক্ষিণ দিকের ‘লাল ব্রিজ’ এলাকায় যেতে নিষেধ করেন। সদ্য নির্মিত এশিয়া হাইওয়ের মিলনস্থলটি হচ্ছে সেই লাল ব্রিজ এলাকা। সেটিই হলো বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে যোগাযোগের সেতুবন্ধ।

এলাকাটি এখন নীরব। আশপাশের বাড়িঘরে লোকজনও দেখা যাচ্ছে না।

সেখানে কথা হয় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক হোসেন আহমদের সঙ্গে। তিনি বললেন, “সীমান্তবাসীর জন্য অনেক বড় সম্পদ এই ‘সীমান্ত সড়ক’। কিন্তু মিয়ানমারের গোলাগুলির কারণে সেই সড়কটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ।

রিকশা চালিয়ে আগে দৈনিক ৬০০-৭০০ টাকা আয় করতাম। এখন নেমে এসেছে ২৫০-৩০০ টাকায়। ভয়ে লোকজন হাটবাজারে যাওয়া-আসা করছে না।’

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সীমান্ত সড়ক’ এশিয়া হাইওয়ে সড়কের শেষ প্রান্ত (লাল ব্রিজসংলগ্ন) থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি হয়ে জেলা সদর বান্দরবানের সঙ্গে সংযোগ হওয়ার কথা। সেনাবাহিনী কাজও শুরু করেছিল। কিন্তু মিয়ানমার বাহিনী গোলাগুলি করায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে বর্তমানে সড়ক নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে।’

তিনি জানান, বৃহস্পতিবারও তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে দফায় দফায় গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে। এসব কারণে সীমান্ত এলাকায় বসবাস করা ২৩০টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অনুমতি পেলে এই পরিবারগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে।

গত মঙ্গলবার থেকে মিয়ানমার বাহিনী কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তেও গোলাগুলি অব্যাহত রেখেছে। উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের আনজুমানপাড়ার ফসলি জমি ও চিংড়ি ঘের রয়েছে নাফ নদের তীরে। এলাকাটিতে নাফ নদের প্রস্থ কম হওয়ায় ওপারের গোলাগুলির শব্দ এপারের বাসিন্দাদের আতঙ্কিত করে তুলছে।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার জাফরুল ইসলাম বাবুল গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার এলাকার কৃষক আবু ছিদ্দিক অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন। ছিদ্দিক বৃহস্পতিবার নাফ নদের আনজুমানপাড়া ওয়াকফ স্টেটের ধানক্ষেতে কাজ করার সময় একটি গুলির অংশ এসে পড়ে পাশে।

উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলীও আনজুমানপাড়ার ধানক্ষেতে গুলি পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সীমান্ত এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি নুরুল হক হেডম্যান (৭৭)। গতকাল বেতবুনিয়া বাজারে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঘুমধুম ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার বাসিন্দা গত এক মাসের বেশি সময় ভীষণ কষ্টে দিন পার করছে। বর্তমানে এই মানুষগুলোর সব ধরনের কাজ বন্ধ। সীমান্তঘেঁষা জমিতে যাঁরা ফসল চাষ করেছেন তাঁরাও পড়েছেন সমস্যায়। কারণ তাঁরা ওই ক্ষেত পরিচর্যা করতে পারছেন না। ফলে জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’

 

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রাথমিক শিক্ষকদের মহাসমাবেশ

চার দফা দাবি না মানলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চার দফা দাবি না মানলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা অনশন
চার দফা দাবিতে গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। ছবি : কালের কণ্ঠ

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, পদোন্নতিসহ চার দফা দাবিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গতকাল শুক্রবার মহাসমাবেশ থেকে দাবি আদায়ে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চার দফা দাবি পূরণ করা না হলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা টানা অনশন কর্মসূচি পালন করবেন। কোথাও কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হবে না।

তাই সরকারকে অবিলম্বে দাবি মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

গতকাল সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা প্রাথমিকের সহকারী ও প্রধান শিক্ষকরা। সকাল ১১টার দিকে এই মহাসমাবেশ শুরু হয়।

দুপুর ২টার দিকে মহাসমাবেশের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্রে জেনেছি, রিট করা ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের জন্য দশম গ্রেড বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তাহলে যাঁরা মামলা করেননি, তাঁদের জন্য কবে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হবে? আমরা চাই, দেশের সব প্রধান শিক্ষক যেন সমানভাবে দশম গ্রেড পান। সহকারী শিক্ষকদের জন্য কনসালটেশন কমিটি ১২তম গ্রেডের প্রস্তাব দিয়েছে, অথচ আমাদের দাবি হচ্ছে ১১তম গ্রেড।’

প্রাথমিক শিক্ষকদের চার দফা দাবি হচ্ছে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান; ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে সব প্রধান শিক্ষকের দশম গ্রেডে পদোন্নতির সরকারি আদেশ (জিও) জারি; চলতি দায়িত্বে থাকা সিনিয়র শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিতকরণ এবং চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।

মন্তব্য
জুলাই শহীদ রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা

শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে : সিপিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে : সিপিবি

চব্বিশের গণ-আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের গুলিতে শহীদ মাহমুদুল হাসান রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সময় সিপিবি নেতারা বলেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে। অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের উত্তরা থানা কমিটির সদস্য শহীদ রিজভী স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ।

মন্তব্য
শহীদ মুগ্ধর বাবা

জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল

স্বাধীনতার স্বাদ মানুষ জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে পেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল। কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এডাস্ট) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভা দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীতে মুগ্ধর শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, তা ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে হারিয়ে ফেলেছি। যে শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল দিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল, সে কখনো জাতির পিতা হতে পারে না। তার কন্যা শেখ হাসিনাও স্বৈরাচারতন্ত্রের দানবকন্যা হয়ে উঠেছিল।
এডাস্ট বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান শামসুল আলম লিটন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহীদ মুগ্ধর নামে একটি খাবার পানির কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেন। উৎপাদিত পানি বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতীকী ম্যারাথন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতীকী ম্যারাথন

জুলাই যোদ্ধাসহ আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে এক প্রতীকী ম্যারাথন গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওই ম্যারাথন আয়োজন করা হয়। এই বিশেষ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বয়সের প্রতিযোগীদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এক হাজার প্রতিযোগী নিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রতীকী ম্যারাথনটি বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে গণভবন, সংসদ ভবন, খামারবাড়ি হয়ে আবারও চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসে শেষ হয়।

গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে আয়োজিত এ প্রতীকী ম্যারাথন ছিল এবারের গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদযাপনের অন্যতম অংশ। গতকাল সকাল ৭টায় এই ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। শুরুতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ম্যারাথন শেষে উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
এই অভ্যুত্থান দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।’ তিনি বলেন, ‘এই প্রতীকী ম্যারাথনে অংশ নিয়ে আমরা অভ্যুত্থানের সেই মহান আত্মত্যাগীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তরুণ প্রজন্মকে সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।’

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ