<p>দুই মাস পর আবারও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রপ্তানি শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে গত ৪ জুন এই রাসায়নিক পণ্যের কনটেইনারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর ঝুঁকি এড়াতে সিঙ্গাপুর বন্দর কর্তৃপক্ষ ৯ জুন এই পণ্য নেওয়া বন্ধ রাখে। বাংলাদেশ থেকে পণ্যটির রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।</p> <p>নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিবেচনায় ১০ আগস্ট এক সিদ্ধান্তে সিঙ্গাপুর বন্দর কর্তৃপক্ষ এই রাসায়নিক পণ্য নিজেদের ইয়ার্ডে রাখতে রাজি হয়। একই সঙ্গে শিপিং কম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে এই পণ্য পরিবহনে বুকিং নেওয়া শুরু করে। এই অবস্থায় আবারও পণ্যটি রপ্তানি শুরু হচ্ছে।</p> <p>দ্য অবজারভেটরি অব ইকোনমিক কমপ্লেক্সিটি (ওইসি) অনুসারে, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে ১৭তম স্থানে ছিল। কিন্তু পরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্তে বছরে অন্তত ৩০০ কোটি টাকার হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রপ্তানি অনিশ্চয়তায় পড়ে। অথচ প্রতিবছর এই পণ্যের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হচ্ছিল।</p> <p>টিকে গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামুদা কেমিক্যাল কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তফা হায়দার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান মেনেই ১৪ বছর ধরে আমরা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড রপ্তানি করে আসছি। সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে এই পণ্যটির রপ্তানি বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছিল। বিএম কনটেইনার ডিপোর বিস্ফোরণের পর শিপিং কম্পানিগুলো পরিবহন না করায় বন্ধ হয়ে যায় সম্ভাবনাময় এই পণ্যটির রপ্তানি।</p>