<p>নড়াইল সদর উপজেলার কর্মচন্দ্রপুরে গ্রাম্য কোন্দলের জেরে হাতুড়িপেটায় এক কিশোরের মৃত্যুর পর ২৫টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।</p> <p><img alt="" src="http://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/ckfinder/innerfiles/images/Print Version Online/print /2022/08.August/15-08-2022/15-8-2022-p11-5.jpg" style="float:left; height:276px; margin:12px; width:200px" />স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদরের কর্মচন্দ্রপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সিকদার ও ভুঁইয়া বংশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। কয়েক দিন আগে সিকদার বংশের একজন আহত হওয়ার পরে তারা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে। ৯ আগস্ট সকালে বাজারে যাওয়ার পথে পান্নু ভুঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভুঁইয়ার (১৭) গতিরোধ করে তারা। হাতুড়ি দিয়ে তাঁর বুক, মাথা ও পায়ে বেধড়ক পেটায়। মারাত্মক আহত জুয়েল খুলনা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় মারা যান। এ খবর গ্রামে পৌঁছার পর পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।</p> <p>এ ঘটনায় জুয়েলের চাচা মান্নান ভুঁইয়া বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে ৯ আগস্ট রাতে সদর থানায় মামলা করেন।</p> <p>হামলার শিকার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যার পরপর আশপাশের কয়েকটি গ্রামের ভাড়া করা লোকেরা এসে হামলা চালায়। তাদের বেশির ভাগের মুখে গামছা বাঁধা ছিল। হামলার আঁচ পেয়ে ভয়ে পুরুষরা বাড়ির বাইরে পালিয়ে যায়। এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মচারী তরিকুল সিকদারের বাড়িতে ঢুকে টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার ভাঙচুর করে তারা।</p> <p>আলমারি ভেঙে সোনা ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। গোয়াল থেকে চারটি গরু নেয়। পাশের হাবিব মেম্বারের বাড়িতে ফ্রিজ, ফ্যানসহ কাঠের ফার্নিচার ও টিনের চাল কুপিয়ে নষ্ট করে। ২৫টি বাড়ি তছনছ করে টাকা, সোনা ও মালামাল লুট করা হয়।</p> <p>নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ লুটপাট বন্ধ করতে গুলি করেছে। পুলিশের ওপর হামলায় মামলা হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।’</p> <p> </p> <p> </p>