<p>ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়া চলাকালে আটকে থাকা ছয় মাসের বকেয়া ভাতার দাবি জানিয়েছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের সাবাইহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।</p> <p>মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংড়া গ্রামের ভাতাভোগী ফাতেমা বিবি। তিনি বলেন, আগে বইয়ের মাধ্যমে (ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার-ইউডিসি) আমাদের টাকা দেওয়া হয়েছে। তখন কোনো সমস্যা হয়নি। অনেক সময় সমস্যা হলে মেম্বার, অফিস ও ব্যাংকের লোকজন মিলে ঠিক করে দিয়েছেন; কিন্তু মোবাইলের মাধ্যমে টাকা দেওয়া চালু হওয়ার পর সমস্যা সৃষ্টি হয়। অফিসে বারবার অভিযোগ করেও টাকা পাওয়া যায়নি।</p> <p>তেঁতুলিয়া গ্রামের জমিলা বিবি বলেন, ‘মোবাইলে টাকা দেওয়া শুরু হলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সমস্যা হয়। পরে তাঁরা টাকা পেয়েছেন বলেও শুনেছি। কিন্তু তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ১৪৯ জন ভাতাভোগী ছয় মাসের ভাতা আজও পাননি। তৎকালীন সমাজসেবা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের অবহেলার কারণে আমরা ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা তাঁর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’</p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভাতা দেওয়া চালু হলে ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ছয় মাসের ভাতা পাননি তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ১৪৯ জন ভাতাভোগী। ওই সময় ভাতার দাবিতে সমাজসেবা অফিস ঘেরাওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়; কিন্তু এখন পর্যন্ত ভাতাভোগীরা বকেয়া ভাতা থেকে বঞ্চিত। এ জন্য তৎকালীন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের অবহেলাকে দায়ী করা হয় মানববন্ধনে।</p> <p>এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের টাকা ব্যাংক থেকে ফেরত চলে গেছে। সে ক্ষেত্রে বকেয়া ভাতাপ্রাপ্তির আর কোনো সুযোগ নেই।</p> <p>মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, বকেয়া ভাতাপ্রাপ্তির সুযোগ থাকলে সমাজসেবা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>