যন্ত্রসংগীত পরিবেশনে শিল্পীরা। গতকাল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। ছবি : কালের কণ্ঠ
যন্ত্রসংগীতের সূক্ষ্ম বাদন শ্রোতাকে উঁচুস্তরের বোধে সংযুক্ত করে। দেশে যন্ত্রসংগীতচর্চার গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। গৌরবময় এই ইতিহাস সমুজ্জ্বল রাখতে শিল্পকলা একাডেমি প্রতিবছর আয়োজন করে যন্ত্রসংগীত উৎসব। গতকাল মঙ্গলবার ছিল ‘জাতীয় যন্ত্রসংগীত উৎসব ২০২২’-এর প্রথম দিন।
বিজ্ঞাপন
শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই উৎসবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আলোচনা পর্বের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক কাজী আফতাব উদ্দীন হাবলু। মুখ্য আলোচক ছিলেন সুরকার শেখ সাদী খান ও অতিথি শিল্পী তবলাবাদক ও ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের সুরকার পণ্ডিত কুমার বোস। জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলাকেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংগীত পরিচালনা করেন তবলাবাদক, সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের সংগীত পরিচালক চন্দন দত্ত।
সুরকার ও সংগীতজ্ঞ শেখ সাদী খান বলেন, কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গে মিলে একজন যন্ত্রশিল্পীর কারিশমাই একটি গানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ঘটায় তার বাদনে। যন্ত্রসংগীতের দুটি ধারা চলমান। একটি ক্লাসিক সংগীত, আরেকটি লোকসংগীত। ক্লাসিকে শিল্পী তাঁর ভেতরের সুর-ব্যাপ্তি ছড়িয়ে দেন যন্ত্রের মাধ্যমে। যন্ত্রের বাদনে শিল্পী শ্রোতাদের মুগ্ধ করে তোলেন। বাদ্যযন্ত্র দিয়েও কথা বলা যায়, মানুষের অনুভূতিতে স্পর্শ করা যায়। দুনিয়ার হাতে গোনা কয়েকজন মহাগুণী তাঁদের গায়নভঙ্গি দিয়ে মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন। গায়কী দিয়ে মুগ্ধ করার তুলনায় বাদন দিয়ে মানুষকে চুপ করিয়ে মুগ্ধ করে রাখাকে জাদু বলা যেতে পারে। এ জন্যই বলা হয় ‘মিউজিক ইজ ম্যাজিক’।
সংগীত অনুষ্ঠানের শুরুতে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন। এরপর প্রথম দিনে একে একে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন পণ্ডিত কুমার বোস, টুংটাং, রুবাব, আশিকুর রহমান, কুমারেশ, সৈয়দ মেহের হোসেন, পল্লব সান্যাল, সুশেন কুমার, দেবাশীষ দাস, কফিল উদ্দিন, তুষার কান্তি সরকার, জিয়াউল আবেদীন, জিনিয়া জাফরিন, জ্যোতি ব্যানার্জি প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জান্নাতুল ফেরদৌসী লিজা।