পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিস-অর্ডারে (পিটিএসডি) আক্রান্তদের ৫৪ শতাংশই আত্মহত্যা করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মারাত্মক দুর্ঘটনা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, যুদ্ধ-লড়াই, ধর্ষণের মতো ঘটনার শিকার প্রত্যক্ষকারী কিংবা মৃত্যু-যৌন সহিংসতা বা মারাত্মক দুর্ঘটনার হুমকির মুখে পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে এই মানসিক রোগ দেখা দেয়। মানুষের একটি বড় অংশ যদি এই ডিস-অর্ডারে আক্রান্ত না হতো তবে ১.৬ শতাংশ আত্মহত্যার ঘটনা প্রতিরোধ করা যেত।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) ডিভিশন অব সাইকিয়াট্রি পরিচালিত এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসছে।
বিজ্ঞাপন
এই সমীক্ষা অনুসারে আরো জানা যায়, পিটিএসডিতে আক্রান্ত পুরুষের চেয়ে নারীর আত্মহত্যার হার তুলনামূলকভাবে বেশি। প্রতি ২০ জন মানুষের মধ্যে একজন এই মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আর নারীর ক্ষেত্রে প্রতি ১০ জনের একজন এতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গবেষণার ফলাফল অনুসারে, বর্তমানে আত্মহত্যার হার ক্রমবর্ধমান হওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক ও মানসিক চাপ, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রায় প্রতিনিয়তই এ রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে আত্মহত্যার তালিকায় উঠে এসেছে।
ক্যাম্পেইনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমরা চাই না আর কোনো শিক্ষার্থী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিক। তাই শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে যেকোনো সহযোগিতার জন্য কাউন্সেলিং সেন্টার করে দিয়েছি। ’
আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বলেন, ‘গত বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ছয়জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার এই হারটা যেন কমে যায় এমনকি শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ’