বন্যায় ভেঙে গেছে জলিল মিয়ার বসতবাড়ি। পরিবার নিয়ে তাই আশ্রয় নিয়েছিলেন স্বজনের বাড়িতে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ফিরেছেন। এখন ঘর মেরামত করা তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বুড়দেও গ্রামে। ছবি : কালের কণ্ঠ
সিলেটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামতে সহযোগিতার পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। এ জন্য উপজেলা পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষি, মৎস্য থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ধারণ করা হচ্ছে। গতকাল জেলা প্রশাসনের সভায় উপজেলা প্রশাসনগুলোকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে সিলেট মহানগর এলাকায় বন্যার পানি সরে যাওয়ার পর রাস্তাঘাটের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে সিটি করপোরেশন। পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। বন্যাকবলিত এলাকায় আবার পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ শুরু হয়েছে।
সিলেটে বন্যাকবলিত এলাকার পানি নেমে যাওয়ার পর আশ্রয়কেন্দ্র ও স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া লোকজন আবার নিজ ঘরবাড়িতে ফিরছে।
কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলাসহ বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ১০ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যার পানি সরে গেলেও অনেকে বেকার হয়ে পড়েছে। এখন যেখানে খাবার জোগাড় করাই কঠিন, সেখানে ঘরবাড়ি মেরামতের ব্যবস্থা করার টাকা কোথায় পাবে? ঘর মেরামতের জন্য তারা সরকারের সহযোগিতা চায়।
বন্যাদুর্গতদের ঘরবাড়ি মেরামতে কোনো ধরনের সহযোগিতার পরিকল্পনা আছে কি না, জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জেলার মিটিংয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) জেলা প্রশাসক মহোদয় এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য আমরা বরাদ্দ চাইব। ’
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি শুধু নয়, মৎস্য, কৃষিসহ যে যে সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সব ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। নিজ নিজ ডিপার্টমেন্ট এসব কাজ করছে। এটি শেষ হলে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ পাঠানো হবে। এরপর তাদের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে বা সহায়তা হিসেবে যাই হোক সরকার যতটুকু বা যেভাবে পারে বরাদ্দ যদি দেয়, তাহলে আমরা সেটা তাদের পৌঁছে দেব। ’
এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের বন্যাকবলিত এলাকাগুলো সম্পর্কে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বন্যায় কোন কোন রাস্তা ভেঙেছে, কী পরিমাণে ভেঙেছে, তা নিরূপণের কাজ চলছে। পাশাপাশি পানি সরে যাওয়ায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হয়েছে। পানি সমস্যার সমাধানও প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। ’