প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদা
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ছিলেন একজন বিপ্লবী নারী। ১৯১১ সালে চট্টগ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া প্রীতিলতা ব্রিটিশ ভারতে স্বাধীনতাসংগ্রামী মাস্টারদা সূর্য সেনের ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা ছিলেন। ব্রিটিশদের মাস্টারদার দেখানো পথে সশস্ত্র পন্থার সংগ্রাম তাঁকে এই ভূখণ্ডের প্রথম আত্মোৎসর্গকারী নারী হিসেবে চিহ্নিত করে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘প্রীতিলতা : শতবর্ষ পরেও এত প্রাসঙ্গিক’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনাসভার আয়োজন করে।
বিজ্ঞাপন
প্রীতিলতা ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পাহাড়তলীতে ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ক্লাবে ‘কুকুর ও ভারতীয়দের প্রবেশ নিষিদ্ধ’—এমন কথা তাঁকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে। ক্লাব আক্রমণ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলে তাৎক্ষণিকভাবে পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মোৎসর্গ করেন তিনি। তাঁর সেই আত্মত্যাগ আজও প্রাসঙ্গিক।
অজয় দাশগুপ্ত তাঁর প্রবন্ধে প্রীতিলতার জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘জন্মের ১১১ বছর পর এবং প্রয়াণের ৯০ বছর পর আজও প্রীতিলতা আমাদের জীবনে সমান প্রাসঙ্গিক। উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে তাঁর যে সংগ্রাম ছিল, সেগুলো ছাড়াও একজন নারী হিসেবে তিনি সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রেও লড়াই করেছেন। একজন প্রতিবাদী প্রীতিলতা নারী নির্যাতন ও অনাচারের বিরুদ্ধেও প্রাসঙ্গিক। আজ থেকে শত বছর আগেও তিনি বাল্যবিবাহ মেনে নেননি। অথচ এই সব সমস্যা আজও প্রকট। ’