হাজী সেলিম
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ১০ বছরের দণ্ডাদেশ পাওয়া আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমকে কারাগার থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের ৫১১ নম্বর কেবিনে কারারক্ষীদের প্রহরায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
গতকাল সোমবার সকালে অ্যাম্বুল্যান্সে হাজি সেলিমকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএসএমএমইউতে আনা হয়। বিএসএমএমইউয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
নজরুল ইসলাম খান জানান, তিনি হৃদরোগে ভুগছেন। চিকিৎসকরা তাঁর চিকিৎসা শুরু করেছেন। কার্ডিয়াক বিভাগের অধ্যাপক হারিসুল হকের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এর আগে রবিবার বিকেল ৩টার দিকে হাজি সেলিম নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে আদালত থেকে পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
হাজি সেলিম ও তাঁর স্ত্রী গুলশান আরার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুদক। বিচারিক আদালত ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল রায় দেন। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ১০ বছর ও সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে হাজি সেলিম আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি তাঁর সাজা বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে আপিল বিভাগ হাইকোর্টে তাঁর আপিলের ওপর আবার শুনানি করতে বলেন।
গত বছরের ৩১ জানুয়ারি হাজি সেলিমের আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। গত বছরের ৯ মার্চ হাইকোর্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে হাজি সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছরের সাজা বহাল রাখেন। তবে
সম্পদের তথ্য গোপনের জন্য দেওয়া তিন বছরের কারাদণ্ড বাতিল করেন।