বাঙালিত্বের পরিচয় নয়, ধর্মীয় পরিচয় আজ ব্যক্তি জীবনে, সমাজ জীবনে, রাজনৈতিক জীবনে, রাষ্ট্র জীবনে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধ করা হয়নি। সংকট থেকে উত্তরণে বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আলোচনাসভায় সংগঠনটির নেতারা এ দাবি জানান।
বিজ্ঞাপন
আলোচনায় অংশ নেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহসভাপতি রেখা চৌধুরী, ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও প্রমুখ।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘সংগঠন করার অধিকার সব নাগরিকের আছে। কিন্তু হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মতো সংগঠন করতে হলে সেটা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জার বিষয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে নতুন প্রজন্মকে সংগ্রামের জন্য তৈরি করতে হবে। কোন বাংলাদেশ, কেমন বাংলাদেশ আমরা প্রত্যাশা করি, তা তাদের বোঝাতে হবে। ৫০ বছরে আমরা অন্তত একটি অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। কিন্তু তা থেকে এখনো অনেক দূরে আমরা। দেশের একজন নাগরিক সাম্য ও সম্মানের সঙ্গে বেঁচে আছে এই কথা জোর গলায় বলতে পারি না। তা যদি না পারি তাহলে বুঝতে হবে রাষ্ট্রের কোথাও একটা গলদ আছে। ’
রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পরও জিয়া ও এরশাদের প্রেতাত্মা থেকে গোটা দেশ ও জাতি আজও মুক্ত হতে পারেনি। বিগত ১৩ বছরে দেশের উন্নতি হয়েছে এটা ঠিক, তবে জনগণের মানস গঠন অনেক দূর পিছিয়ে গেছে। অস্বীকার করা উপায় নেই, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ আজ আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটি আপামর বাঙালি জাতির জন্য লজ্জার। এই অবস্থার জন্য আমরা বাংলাদেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুক্তিযুদ্ধ করিনি। ’