জাহাঙ্গীর আলম
তিন ব্যাংকের ৭৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালাতে গিয়ে ধরা খেলেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ঋণখেলাপি ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম ওরফে সিএনজি জাহাঙ্গীর। বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে আটক করে। তাঁকে হাটহাজারী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের হাটহাজারী শাখার ম্যানেজাররা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীর তাঁদের ৭৮ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ না করে পালাচ্ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক হাটহাজারী শাখার ব্যবস্থাপক (এভিপি) সালামত উল্লাহ জানান, মো. জাহাঙ্গীর আলম ব্যাংকের হাটহাজারী শাখা থেকে কাশেম ট্রেডিং, ডায়মন্ড অটো ব্রিকস এবং সুপার সিটি নামের তিনটি ফার্মের নামে ৫০ কোটি টাকা ঋণ নেন। ঋণের টাকা যথাসময়ে পরিশোধ না করায় তাঁর এ ঋণ মন্দ ও খারাপ ঋণ হিসেবে পরিগণিত হয়। টাকা আদায়ের জন্য নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের অধীন চট্টগ্রাম আদালতে সাতটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে আদালত থেকে ঋণখেলাপি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পারোয়ানা জারি করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে তাঁর তথ্য দিয়ে রাখা হয় বলে জানান সালামত।
সূত্রে জানা গেছে, ন্যাশনাল ব্যাংক
হাটহাজারী শাখা থেকে জাহাঙ্গীর তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মেসার্স কাশেম ট্রেডিংয়ের অনুকূলে ছয় কোটি টাকার ঋণ নেন। ওই ঋণ শোধ না করায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাংক ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি অর্থঋণ আদালতে মামলা করে। এ ছাড়া নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের অধীন ছয় কোটি ৬০ লাখ টাকার চেক ডিজঅনার করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ওই বছর ৫ ফেব্রুয়ারি সিআর মামলা করা হয়। তা ছাড়া ব্যাংকের কাছে বন্ধককৃত জমি ব্যাংকের অগোচরে হস্তান্তর করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ওই বছর ২১ জুলাই মামলা করা হয়। সব মামলা আদালতে বিচারাধীন।
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড হাটহাজারী শাখা সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা আদায়ের জন্য এনআই অ্যাক্টে দুটি এবং অর্থঋণ আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে।